Advertisement

অনন্তের পাশে KLO প্রধান জীবন! বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

গোপন ডেরা থেকে ভিডিও প্রকাশ করে জীবন সিংহের বার্তা, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই রাজবংশীদের উপরে শোষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের জাতি, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে প্রস্তুত।

জীবন সিংহ
রাজেন প্রধান
  • কোচবিহার,
  • 16 Jun 2021,
  • अपडेटेड 3:44 PM IST
  • গোপন ডেরা থেকে ভিডিও প্রকাশ করে জীবন সিংহের বার্তা
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য
  • যারা বাধা দেবে, গঙ্গার ওপারে পাঠিয়ে দেব

গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজের পাশে দাঁড়ালেন কামতাপুর লিবারেশনের প্রধান জীবন সিংহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য, গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত সিংহের বিরুদ্ধে মমতা যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

আরও পড়ুন: করোনায় প্রয়াত কামতাপুর আন্দোলনের প্রাণপুরুষ অতুল রায় 

গোপন ডেরা থেকে ভিডিও প্রকাশ করে জীবন সিংহের বার্তা, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই রাজবংশীদের উপরে শোষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের জাতি, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে প্রস্তুত। একই তাঁর হুঁশিয়ারি, 'দিনাজপুর, মালদা নিয়ে সমগ্র এলাকার মানুষকে কামতাপুরী ভাষা ও সংসকৃতি বাঁচাতে আন্দোলনে নামতে হবে। যারা বাধা দেবে, গঙ্গার ওপারে পাঠিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের উপরে শোষণ করছেন, অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন।'

বস্তুত, ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজ দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। অমিত শাহ অনন্তকে আশ্বাস দেন, ভোটে জিতলে রাজবংশীদের সব দাবি আস্তে আস্তে পূর্ণ হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাল ফলের পিছনে রাজবংশীদের একটা বড় অংশের ভোট রয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গের রাজবংশীদের একাংশ বহুদিন থেকে ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া তাদের কামতাপুর রাজ্য ফিরে চাইছে। এর মধ্যেই আবার কোচবিহারকে মাঝে রেখে অনেকে চাইছে গ্রেটার কোচবিহার। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। আলাদা রাজ্য না হলেও অন্তত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও তারা খুশি। 

গত শতাব্দীর আশির দশকে প্রথমে কামতাপুর রাজ্যের আন্দোলন শুরু হয়। সেখান থেকে তৈরি হয় ১৯৯৫ সালে অতুল রায়ের নেতৃত্বে কামতাপুর পিপলস পার্টি। ছাত্ররাই ছিল এই আন্দোলনের মূল শক্তি, যাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে উচ্চবর্ণবিরোধী কিছু উপাদানও কাজ করেছে। স্থানীয় দরিদ্র মুসলমানদেরও কাছে পেতে চেয়েছিল এই আন্দোলন। সে কারণে রাজবংশী পরিচয়ের চেয়ে কামতাপুরী ভাষাগত পরিচয়কে গুরুত্ব দিতে শুরু করে আন্দোলনকর্মীরা। পুরো উত্তরবঙ্গে সংখ্যায় এরা নিজেদের ৬০ ভাগ বলে দাবি করে। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement