Advertisement

কার্শিয়ংয়ে জল উপচে ঢুকছে বাড়িতে, অবাক এলাকাবাসী

কার্শিয়ংয়ে জল জমে বাড়িতে ঢুকতে শুরু করেছে। অবাক এলাকাবাসী। পাহাড়ি জায়গায় জল জমার সমস্যা কস্মিনকালেও ভোগ করেননি তাঁরা। ড্রেনের মুখ আটকেই মূল সমস্যা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

কার্শিয়ং স্টেশনকার্শিয়ং স্টেশন
কায়েশ আনসারী
  • কার্শিয়ং,
  • 08 Jul 2021,
  • अपडेटेड 1:59 PM IST
  • কার্শিয়ংয়ের জল জমে সমস্যা, বিপাকে এলাকাবাসী
  • ড্রেন আটকে যাওয়াতেই বিপত্তি
  • পুরসভাকে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না

কার্শিয়ংয়ে বন্যা পরিস্থিতি

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নালার মুখ আটকে জল উপচে পড়ছে। কার্শিয়ং টাউনে বন্যার মতো দেখা গিয়েছে।কার্শিয়াং পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের।

বন্যার মতো পরিস্থিতি! অবাক এলাকাবাসী

আরও পড়ুন

গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হয় পাহাড়ে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা চলেছে। যার জেরে জল যন্ত্রণায় কার্শিয়ং। বিশেষত নীচু এলাকার দোকানগুলিতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। পরিস্থিতি এমনই কার্শিয়ং শহরে বন্যার মতো দেখা গিয়েছে। যার ফলে রাস্তা, দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শহরে যা নিকাশি তা মুখ আটকে যাওয়া উল্টো দিকে জল প্রবাহিত হচ্ছে। তাই গোটা শহপর ঢালের মধ্যে অহবস্থিত হলেও জল উপচে দোকান-ঘরে জল ঢুকছে। রাস্তাতেও জল উপচে পড়ছে।

ড্রেন আটকে যায় দুবছর আগেই

তবে ড্রেনটি আটকে পড়েছে এমন অভিযোগ নতুন নয়। বর্ষায় জল উপচে পড়ছে বলে শুধু নয়, তবে এটি ২০১৯ সালে এবং এই অঞ্চলের লোকেরা প্রথম পুরসভায় অভিযোগ জানায়। কাজ না হওয়ায় গত বছরও এমনকী এ বছরও কার্শিয়ং পুরসভায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

বারবার অভিযোগেও কাজ হয়নি

স্থানীয় বাসিন্দা সন্ধ্যা থাপা বলেন, এই সমস্যাটি ২০১৯ সাল থেকে চলে আসছে। তখনই আমরা পৌরসভায় অভিযোগ করি। এই বছর ৩০ জুন আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম এবং তারা ক্লিয়ারিং স্টাফ পাঠিয়েছিল।তবে তারা কেবল উপরের অংশটি পরিষ্কার করে চলে যায়। ড্রেনের ভিতর পরিষ্কার না করায় আবার ড্রেনটি নতুন করে আটকে গিয়েছে। যার কারণে জল উপচে পড়ছে।

ড্রেনেই জমছে আবর্জনা

এলাকাবাসী এই ড্রেনেই যথেচ্ছ ময়লা ফেলে। তার উপর পৌরসভার ক্লিয়ারিং স্টাফরাও রাস্তা পরিষ্কার করার পরে রাস্তার আবর্জনা নর্দমায় ফেলে দেয়। তারফলে সমস্যা যা হওয়ার তা হচ্ছে।

জল ঢুকে বিপর্যস্ত ব্যবসায়ীরা

ভুক্তভোগী দোকান মালিক রূবেশ কুমার প্রসাদ বলেন, ড্রেনের জল ঢুকে আমার পণ্যগুলির ক্ষতি করে দিয়েছে।প্রায় ৫০ হাজার লোকসান হয়েছে। আমরা আগেও কার্শিয়ং পৌরসভায় অভিযোগ করেছি, কিন্তু তারা কিছুতেই আসছে না। কার্শিয়ং পুরসভার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তারা জানায়, যে লোকেরা ড্রাইভওয়েতে অপ্রয়োজনীয় জিনিসটি ফেলে দিয়েছে যার জন্য ড্রেনটি ব্লক।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement