Advertisement

২৯ মাইলে ধস, শিলিগুড়ি- সিকিমে যোগাযোগ ফের বিচ্ছিন্ন

শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যেতে ফের বাধা। ২৯ মাইলে ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শৈলরাজ্যের সঙ্গে গোটা দেশের। ধস সরানোর কাজ চলছে। তীব্র যানজট সেবক ছাড়িয়ে শিলিগুড়ির গোড়ায় চলে এসেছে।

প্রতীকী ছবি
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 11 Jul 2021,
  • अपडेटेड 12:36 PM IST
  • ২৯ মাইলে ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
  • ধস সরাতে কাজ চলছে যুদ্ধকালীন গতিতে
  • ঘুরে কালিম্পং যেতে হচ্ছে গাড়িগুলিকে

২৯ মাইলে ধস বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি-সিকিম

ফের ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ির সঙ্গে সিকিমের। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ২৯ মাইল এলাকায় রবিবার সকালে ধস নামে। রাস্তার উপর মাটি পাথরের চাঁই প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ। যদিও দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে খবর মিলেছে।

টানা বৃষ্টি ও বাঁধ

গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও কম, কখনো বেশি। এমনিতেই ৩ দিন আগে ত্রিবেণী এলাকায় তিস্তার জল উঠে এসেছিল রাস্তায়। এতটাই বৃষ্টিপাত হয়েছে পাহাড়ে। পাশাপাশি তিস্তায় লোয়ার ড্যাম প্রোজেক্টের জন্য জল ধরে রাখার প্রবণতার কারণে জল স্তর বেড়ে গিয়েছিল। যা পাহাড়ের দুপাশে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে বলে ভূ-বিজ্ঞানীদের মত। ফলে এই ধরণের ধস নামতেই থাকবে বলে তাঁরা পূর্বাভাস করেছিলেন।

যান চলাচল স্তব্ধ

ঘটনার জেরে যানচলাচল একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়। তবে কয়েক ঘণ্টা পর থেকে ছোট ছোট গাড়িগুলিকে পাশ দিয়ে কোনও মতে চলাচল শুরু করা হয়েছে। তবে বড় গাড়ি চলতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

কিছুদিন আগেই ধসে মৃত্যু হয়েছিল

কিছুদিন আগেই কালিম্পং এর কাছে ভালুকদাঁড়ায় ধ্বস নামে। মারা যান কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। যার জেরে সেবক রংপো রেলপথের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপরও একাধিকবার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সিকিমের সঙ্গে আপাতত সম্পন্ন যোগাযোগ বন্ধ। তবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

কালিম্পং ঘুরপথে, সিকিম যাওয়ায় বিপত্তি

আপাতত কালিম্পং গামী বড় গাড়ি ডুয়ার্সের গরুবাথান দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সিকিম যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়েছে। কালিম্পং দিয়ে ঘুরে সিকিম যেতে হলে বহু সময় লেগে যাচ্ছে। তাই বেশিরভাগই রাস্তা খুলে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

Advertisement

ভবিষ্যত আশঙ্কার সাবধানবাণী

তবে ভূবিজ্ঞানী ও পরিবেশপ্রেমীদের তরফে আগামীতেও এ ধরণের ছোট-বড় ধসের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে মানুষ ও প্রশাসনকে। কারণ পাহাড়ের উচ্চতায় লাগাতার জল ধরে রাখতে গিয়ে পাহাড়ের দেওয়ালে যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে ভিতরে ফাটল ও চ্যুতি তৈরি হচ্ছে। যা যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায় দুর্বল অংশ ফেটে বের হতে পারে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement