বর্ষা (Monsoon) ঢুকতেই বৃষ্টিপাত (Rain) শুরু। আর সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে পাহাড়ে ধস। বর্ষা সবে শুরু হয়েছে। এর বুধবার (Wednesday) রাতে শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে সিকিমগামী (Sikkim) ১০ নম্বর জাতীয় (NH-1O) সড়কে ধস (Land Slide) নেমে ওই পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে পর্যটকদের (Tourist) যাঁরা সিকিম থেকে ফিরছিলেন, কিংবা সিকিম যাওয়ার জন্য রওনা হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। রাস্তায় লম্বা যানজটের (Traffic Jam) সৃষ্টি হয়েছে। ঘুরপথে সিকিম যাওয়ার জন্যও গাড়ি ঘোরানো যাচ্ছে না অনেক জায়গা থেকে রাস্তা সরু থাকায়। ফলে ''ন যযৌ, ন তস্থৌ অবস্থায়'' রয়েছেন তাঁরা।
দু জায়গায় ধস, যোগাযোগ বিঘ্নিত
পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে সিকিম যাওয়ার পথে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে দু'জায়গায় ধস নেমেছে। তাতে সিকিমের ২৯ মাইল থেকে সেবক এলাকা পর্যন্ত লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে পর্যটনের ভরা মৌসুমে বিপাকে পড়েছেন অনেক পর্যটকই ধরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে তবে তা সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে কারণ বৃষ্টি লাগাতার চলছে। বিকেলের দিকে বিকল্প রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।
একটি রাস্তা ধংস হয়ে গিয়েছে
জানা গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মাধ্যমে ৩২ মাইলের (32 Mile) অংশে ধস নেমেছে। এ ছাড়া সিকিমের পাচে গাংচাং-এ রাস্তা ধসে গিয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত সম্ভব নয়। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে রাস্তার প্রায় সিংহভাগ অংশই। আপাতত ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আর সম্ভব নয়। ঘুরপথে সিকিম যেতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ এবং খরচসাপেক্ষ বটে। নতুন করে রাস্তা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সে পথে যানচলাচল সম্ভব নয়। কয়েক মাস সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ওই রাস্তাটি জাতীয় সড়কের উপর নয় বলেই জানা গিয়েছে। বরদাং এলাকায় আরও একটি ধসের খবর রয়েছে। তবে সেখানে ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে।
কোথায় কোথায় ধস?
ভূমিধসের ফলে রোলেপ হয়ে মাচং, পারখা, বড়পাথিং, লিংকি, রোলেপ, রংলি সংযোগকারী রাস্তার গঠন বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি লাইফলাইন হওয়ায় গ্রামসহ নিত্যযাত্রীরা, কৃষকরা অবিলম্বে সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
পর্যটকদের ঘুরপথে পাঠানো হচ্ছে
অন্যদিকে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর ধীরে ধীরে অন্যপথে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ও সিকিম থেকে শিলিগুড়িগামী গাড়িগুলিকে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে রাত হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পংয়ের (Kalimpong) জেলাশাসক বিষয়টি দেখছেন।