Advertisement

শিলিগুড়িতে আংশিক লকডাউনে ধস রেস্তোরাঁ ব্যবসায়, ত্রাতা হোম ডেলিভারি সংস্থা

আংশিক লকডাউনে বিপর্যস্ত শিলিগুড়ির হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা। কীভাবে বিপুল ক্ষতি সমাল দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে ভরসা শুধু হোম ডেলিভারি। সহায় হোম ডেলিভারির সংস্থাগুলি।

শিলিগুড়ি গেট ফাইল চিত্র
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 10 May 2021,
  • अपडेटेड 11:38 AM IST
  • লক ডাউনে রেস্তোরাঁ ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে
  • পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল্প ভাবনা
  • হোম ডেলিভারির মাধ্যমে সচল রেস্তোরাঁগুলি

আংশিক লকডাউনে বিপর্যস্ত শিলিগুড়ির হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা। কীভাবে বিপুল ক্ষতি সমাল দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার কথাও চিন্তা ভাবনা করেছেন।

উদ্বেগ বাড়ছে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের

যাদের পরিকাঠামো যত বড়, তাদের উদ্বেগ ও তত বেশি। পরিকাঠামোর খরচ তুলতে হিমশিম অবস্থা। এই অবস্থায় ন্যূনতম খরচ তুলতে ভরসা কয়েক বছর ধরে শিলিগুড়িতে চালু হওয়া বিভিন্ন বহুজাতিক ও স্থানীয় ফুড হোম ডেলিভারি সংস্থা। যারা দাপিয়ে কাজ করছে গত কয়েক বছর ধরেই। ২০২০ তে প্রথম লক ডাউনে এদের গুরুত্ব বেড়েছে অনেকখানি।

ফুড ডেলিভারি সংস্থার দাবি

একটি আন্তর্জাতিক স্তরের ফুড হোম ডেলিভারি সংস্থার স্থানীয় কর্মী জানিয়েছেন, ইতি মানুষের মধ্যে বাড়িতে বসে খাবার নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তবে লকডাউনে সময়ে সেই চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। গত বছর লকডাউনে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই সংস্থা, শুধুমাত্র শিলিগুড়ি থেকে। অন্য একটি সংস্থার তরফে স্থানীয় ম্যানেজার জানিয়েছেন, সমস্ত রেস্তোরাঁগুলি থেকে যেভাবে হাইজিন মেনে খাবার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার তৈরি করছে এবং আমাদের এক্সিকিউটিভরা সেই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ভাবে, তাতে মানুষের মনে বিশ্বাস জন্মেছে যে খাবার থেকে কোনও রকম সমস্যা তৈরি হবে না। ফলে মানুষ আগ্রহী হচ্ছে।

রেস্তোরাঁ কর্ণধাররা কি বলছেন?

অন্যদিকে শিলিগুড়ি একটি রেস্তোরাঁর কর্ণধার মানিক আরোরা জানিয়েছেন, হোম ডেলিভারি চালু রাখা আসলে রেস্তোরাঁ টাকেই সচল রাখার একটা প্রচেষ্টা। রেস্তোরাঁ খোলা থাকলে যত লোক আসেন তাঁর দশ শতাংশও প্রতিদিন হোম ডেলিভারি হয় না। ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, আসলে লকডাউন এর সময় বিশেষজ্ঞ রাঁধুনি বা অন্যান্য কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া যায় না। ফলে তাঁদের রাখতেই হয়। এ সময় কিছু অর্ডার অন লাইনে এলে সেই খাবার সরবরাহ করা হয় মাত্র। এতে কর্মীরাও সচল থাকেন, সেই সঙ্গে মানুষও যারাঁ আমাদের রেস্তোরাঁর খাবার পছন্দ করেন তারাও বঞ্চিত হন না। অন্তত কিছু খরচ উঠে আসে।

Advertisement

গ্রাহকদের সুবিধা

আরও একটি হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক মনীশ সিং জানিয়েছেন, হোম ডেলিভারি আসলে গ্রাহকদের সুবিধা। তবু একদম বন্ধ থাকার চেয়ে কিছু খরচ উঠে আসে এটুকুই লাভ। লকডাউন খুলে গেলে স্বাভাবিক হতে বেগ পেতে হয় না।

হোম ডেলিভারির বাজার

শিলিগুড়িতে ছোট-বড়, আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া ও স্থানীয় মিলিয়ে প্রায় ৫শো রেস্তোরাঁ আছে। যেগুলি এই লক ডাউন পরিস্থিতিতে খুলতে পারছেন না। যার সব মিলিয়ে মাসিক ব্যবসা প্রায় প্রায় কুড়ি কোটি টাকা। এর দশ শতাংশও যদি  হোম ডেলিভারিতে ব্যবসা হয়, তাহলেও অন্তত ২ কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। যা গোটা ব্যবসা প্রক্রিয়াটিকে অন্তত সচল রাখছে। সঙ্গে কর্মীদের অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement