ফের পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারিভাবে তাঁর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে বৈঠক করার কথা। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে যেহেতু তিনি এবার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কাউকে দেননি। তাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়নই তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য হবে।
সাবিনার অভিজ্ঞতা কম
যদিও স্থানীয় মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সহায়তা করবেন। তবে মন্ত্রী হিসেবে তাঁর অনভিজ্ঞতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপরে বসিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।
চা নিয়ে বৈঠক হতে পারে
পাশাপাশি দুয়ারে কর্মসূচিকে সফল করতে তিনি পরামর্শ দেবেন বলে গুগলের দলীয় সূত্রে খবর। পাশাপাশি সামনে পুজো মরশুম। তার আগে চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। চা শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
জিটিএ অন্য়তম মাথাব্যথা
জিটিএ-এর পরিস্থিতি আপাতত ভিন্ন। তা নিয়েও আলোচনা হতে হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে পাহাড়ে বেশ কিছু পালাবদল ঘটে গিয়েছে। পুরনো সঙ্গী বিনয় তামাং রাজ্য সরকার এবং নিজের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুই হাতই ছেড়ে এখন এককভাবে অবস্থান করছেন। ফলে জিটিএ সম্পূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান অনিত থাপার ওপরে।
আগে ছিল কর্তব্য
তৃতীয় দফায় সরকার গঠনের পর প্রথমবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তার কাছে চ্যালেঞ্জ একেবারেই আলাদা। এর আগে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে প্রচারে এবং ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে শুধুমাত্র কথা বলতে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত খাতায়-কলমে তো তাই।
এবারে কড়া চ্যালেঞ্জ
তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। গোটা রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য বিপুল ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। অথচ ঠিক উল্টো পথে হেঁটে উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের ফল ব্যাপকভাবে খারাপ। যার সূত্র ধরে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। ফলে মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো এবং কেন মানুষ মুখ ফিরিয়ে থাকছে, তা পর্যালোচনা করার একটা তাগিদ রয়েছে।
না মেলা অঙ্কের সমাধান খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী
পাশাপাশি পুরনো সঙ্গীদের কেউ এখন আর মন্ত্রী নেই। প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিধানসভায় হেরেছেন। বিদায়ী পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সৌরভ চক্রবর্তী, উদয়ন গুহরা। নিজ নিজ বিধানসভা থেকে হেরে গিয়েছেন। ফলে অনেকগুলি না মেলা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে তৃণমূল নেত্রীকে। তাই সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি নিজেদের দলীয় আস্থা ফেরানোর তার কাছে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।