ভবানীপুর আসনে এবার হেরে যাওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে আর এক হেরে যাওয়া প্রার্থী। এবার মানুষ বিচার করবে তারা হেরে যাওয়া প্রার্থীদের নির্বাচিত করবে কিনা! শনিবার শিলিগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
শিলিগুড়িতে সুজন-বিকাশ
শিলিগুড়িতে চিটফান্ড সাফারার্স এজেন্টস ইউনিটি ফোরামের তরফে শনিবার শিলিগুড়িতে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর ওই সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
মমতা-প্রিয়াঙ্কা হেরো প্রার্থী
এদিনের সভায় সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন নিয়ে মুখ খোলেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "শ্রীজীব ভালো প্রার্থী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দিল্লিওয়ালা বা রাজ্যওয়ালা কাউকে চাইছে না।" এদিন তিনি আরও বলেন "তৃণমূল হেরে যাওয়া প্রার্থী দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিজেপি আবার আরেক হেরে যাওয়া প্রার্থী দিয়েছে। এবার মানুষ বিচার করবে তারা দুই হেরে যাওয়া প্রার্থীকে বেছে নেবে নাকি অন্য কাউকে। কারণ মানুষ দিল্লিওয়ালা বা রাজ্যওয়ালা কাউকেই পছন্দ করছে না।"
মুখ্যমন্ত্রী থাকতে মমতাকে দাঁড়াতেই হতো
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তিনটি আসনে উপ-নির্বাচনে দামামা বেজে উঠতেই জোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে ভবানীপুর ও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলেরই প্রাক্তন মন্ত্রী ও একদা তৃণমূলের রাজ্য যুব সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান। তা সত্ত্বেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। ফলে অবশ্যম্ভাবীভাবে তাঁকে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হতোই।
ঝুঁকি নয়, ভবানীপুরই সেফ সিট
তবে এবার তিনি আর ঝুঁকি নিতে চাননি। নিজের পুরনো বিধানসভা ভবানীপুরকেই সেফ গেম খেলার জন্য বেছে নিয়েছেন।অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রুয়ালকে প্রার্থী করেছে। তিনিও এইবার বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি আসনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন। আগামী উপনির্বাচনে ওই আসনে বামেদের প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে।