কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প রাজ্য করতে দিচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাংসদ জন বারলা নালিশ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের সাহায্য ছাড়াই উত্তরবঙ্গে দুটো ইন্ডোর স্টেডিয়াম বানানোর চ্যালেঞ্জ জানালেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
কেন্দ্রের প্রকল্প করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে
কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প রাজ্য সরকার করতে দিচ্ছে না এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি জন বারলার। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের জন্য তিনি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় কেন্দ্রের টাকায় মাদ্রাসা খুলতে চান। সে বিষয়ে রাজ্য সরকার কোন সাহায্য করছে না। এছাড়াও সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল, স্কুল নির্মান করতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন।সে বিষয়েও রাজ্য সরকারের কোন সহযোগিতা করছে না।
ডিএম-এসপিরা পালিয়ে যান
মন্ত্রীর অভিযোগ তিনি গত আড়াই বছর ধরে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ এবং প্রায় এক বছর ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদে রয়েছেন অথচ আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার এমনকি ব্লকের বিডিও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ তিনি ডিএম, এসপির সাথে দেখা করতে গেলে তাঁরা পালিয়ে যান। মন্ত্রী বলেন তিনি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। মন্ত্রীর দাবি, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মন্ত্রী তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের কাছে কোনও ফান্ড নেই। তাই রাজ্য সরকার কোনও সাহায্য করতে পারবে না। যদিও পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি এবং জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা অন্য সব ব্যপারে কথা বলতে রাজি হলেও, এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জনের অভিযোগ
সাংসদ জন বারলা বলেন ৬০-৪০ অনুপাতে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা দিতে প্রস্তুত। অথচ রাজ্য কেন্দ্রের টাকা নিতে চাইছে না। মন্ত্রী বলেন রাজ্য সরকার সাহায্য করুক বা না করুক আমি জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট এবং আলিপুরদুয়ার জেলার বীড়পাড়াতে দুটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম বানাবো। এই স্টেডিয়াম নির্মানের জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে একটি প্রতিনিধি দল সার্ভে করতে আসবে। সার্ভের কাজ শেষ হলেই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। দুটি স্টেডিয়াম কেন্দ্রের টাকায় নির্মাণ করা হবে।
তৃণমূলের পাল্টা
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীর্ঘ আড়াই বছর শীতঘুমে ছিলেন। আর আড়াই বছর পর ফের নির্বাচন। তাই ফের মানুষকে বোকা বানাতে এই সব মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। জেলার মানুষ বিজেপির ভাঁওতা বুঝে গেছেন। এবার উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপির একজন প্রতিনিধিও সাংসদে যেতে পারবেন না।