ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ফেরানোর সময় আচমকা দুষ্কৃতী হানায় আক্রান্ত হলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় ও বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ
পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাচনের সময় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ফেরানোর সময় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন জলপাইগুড়ি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত রায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন সাংসদ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজগঞ্জে ভান্ডারিগছ এলাকায়।
ঘর ওয়াপসির উদ্যোগ
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে নিজের সংসদ এলাকার ঘর ছাড়াদের পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। সেই মতো এদিন বিকেল নাগাদ আমবাড়ি এলাকার ভান্ডারিগছের ৩০টি বিজেপি পরিবারকে বাড়ি ফেরানোর জন্য এলাকায় পৌঁছন সাংসদ জয়ন্ত রায় সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
বাধা দিলে সাংসদকে মার
অভিযোগ, এদিন ভান্ডারিগছে ওই পরিবারগুলিকে ফেরানোর সময় স্থানীয় ৫০ থেকে ৬০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ভাঙচুর চালানো হয় সাংসদের গাড়ি সহ আরও দুটি গাড়িতে। ঘটনায় মাইনরিটি মোর্চার কর্মী সহ মোট তিনজন গুরুতর জখম হন। অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা আক্রমণকারীদের আটকালে তারা উল্টে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা সাংসদকে।
পুলিশ এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা
খবর পেয়ে এরপর ঘটনাস্থলে আসে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। যদিও পুলিশ পৌঁছালে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় আক্রমণকারীরা। এরপরই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা সাংসদসহ বিজেপি কর্মীদের গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে আসে। আপাতত সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সাংসদের
সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, "ভান্ডারিগছে ঢোকার মুখে পুলিশ আচমকা আমাদের একা ছেড়ে দেয়। আর আমরা ঢুকতেই আমাদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশের ভূমিকা নেতিবাচক। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, তার প্রমাণ। পুলিশ নিজে সময় দিয়েছিল, যে এদিন তাদের উপস্থিতিতেই ঘরছাড়াদের ফেরানো হবে। তারপরেও এই ঘটনা ঘটল।"
তৃণমূল জড়িত নয়, দাবি বিধায়কের
রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন যে এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। তাঁর দাবি, বিজেপি থেকে সবাই তৃণমূলে চলে আসছে। তাই এসব নাটক করে তাঁরা খবরে থাকতে চাইছে। আমরা এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
সাংসদের অবস্থা স্থিতিশীল
অন্যদিকে মেডিক্যালের চিকিৎসক ডাক্তার অমরেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন সাংসদের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত রয়েছে। তবে তার ব্লাড পেসার সুগার অক্সিজেনের মাত্রা সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে এবং তার শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল।