গুরুং-বিনয় ফের কাছাকাছি
দল ছেড়ে দেওয়ার পরেই বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে বিমল গুরুং, বিনয় তামাংকে তাঁদের শুভেচ্ছা এবং একসঙ্গে কাজ করবেন বলে বার্তা দেওয়ায় বিনয়-বিমল হাতে-হাত মিলিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ানাে এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিনয় ছাড়লেও আপাতত বিলুপ্ত হচ্ছে না মোর্চা।
অনিতই মোর্চার নেতৃত্বে
সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল অনিত থাপার নেতৃত্বে নতুন দল গঠন হতে পারে। কিন্তু সে সম্ভাবনায় জল ঢেলে নিজেই নতুন করে অন্তর্বর্তী কমিটি তৈরি করে শুক্রবারই নিজেই দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ চালানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। যতদিন নতুন কমিটি তৈরি না হয়, এভাবেই চলবে বলে জানানো হয়েছে দলের আহ্বায়ক কেশব রাজ পোখরেল-এর তরফে।
বিনয়-বিমল নতুন সমীকরণে প্রশ্ন
এদিকে বিনয় তামাং কে তৃণমূল নিতে খুব একটা আগ্রহী নয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও নির্বাচনের ফলে বিনয়পন্থীরা বিমল গুরুংয়ের চেয়ে ভালো ফল করেছে। তবে দেখা গিয়েছে, যথেষ্ট সংখ্যক ভোট রয়েছে বিমলেরও। তাই বিনয়-বিমল একসঙ্গে কাজ করলে আরও কিছুটা শক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপিকে ঠেকাতে বিনয়-বিমলের ফের একত্রিত হয়ে যাওয়া রাজ্য রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে পাহাড়ে পরবর্তী চালিকাশক্তি মোর্চা নেতৃত্বের হাতেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাহাড়ে অশান্তি নয়, রাজ্যের সঙ্গেই অনিত
অন্যদিকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে এখনই অনিশ্চয়তার পথে হাঁটতে রাজি নয় অনিত থাপা। তাই বিনয় দল ছাড়লেও তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব রেখেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তার মুখে শান্তির বার্তা। গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে কেউ যদি পাহাড়কে আবার নতুন করে অশান্ত করতে চায়, তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। বার্তা স্পষ্ট তিনি কি করতে চাইছেন।
বিজেপি জল মাপছে
তবে বিজেপির তরফেও বিনয়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তবে এই মুহূর্তে বিনয়ের বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। যেহেতু বিমল গুরুং নিজে বিজেপির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেছেন। আগামী কয়েকদিনে পাহাড়ের রাজনীতি কোন খাতে বইবে তার ওপর নির্ভর করছে করা পরবর্তী পরিস্থিতিতে পাহাড় কি ফেরত দেবে।