ট্যুর প্য়াকেজে ক্ষতিপূরণের আশা
করোনার জেরে দীর্ঘদিন রাস্তায় নামেনি বাস। সব জায়গার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্ষতির হার বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের সরকারি পরিবহণেও গত বছর পুজোর আগে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা জনপ্রিয় নাম এনবিএসটিসি-র কর্তারা। গত বছর পুজোর ট্যুর প্যাকেজ চালু করেছিলেন তাঁরা। যা খুব একটা লাভদায়ক হয়নি।
ছোট প্যাকেজে জোর
এবারেও লাভদায়ক হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ্ব থাকলেও এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। কয়েকটি বাস নিয়ে পুজো টুর প্যাকেজ চালু করতে চাইছেন তাঁরা। পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কিংবা এনবিএসটিসি-র নিজস্ব উদ্যোগে ফের পর্যটনের ছোট প্যাকেজ চালু করতে চাইছেন তাঁরা।
পরিস্থিতির দিকে নজর এনবিএসটিসি-র
এনবিএসটিসির উত্তরবঙ্গের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আগরওয়াল জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পর্যটনে উৎসাহ দিতে সাহায্যও করা হচ্ছে। আমরাও চেষ্টা করছি, সব রকম সহায়তা করার। অনেক রকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা হচ্ছে।
দুর্গাপুজো, খাওয়াদাওয়া, ভ্রমণ
এই প্যাকেজ মূলত সারা দিনের প্যাকেজ। সকালবেলায় ডিপো থেকে পর্যটকদের তুলে নিয়ে বিভিন্ন জঙ্গল এলাকা এবং লাগোয়া এলাকায় সাবেকি এবং ঐতিহ্যশালী দুর্গাপুজোগুলোকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয় পর্যটন দপ্তরের পৃথক প্যাকেজে। সেখানে অবশ্য রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাও ছিল।
খরচ বেসরকারি প্যাকেজের চেয়ে কম
এনবিএসটিসি কিংবা পর্যটন দপ্তরের প্যাকেজ অবশ্য বেসরকারি প্যাকেজের চেয়ে অনেকটাই কম খরচে হয়ে যায়। পাশাপাশি গাড়ি বদলানোর ঝামেলা না থাকায় একই গাড়িতে গোটা এলাকা ঘুরে আসা যায়। পাশাপাশি অনেক যাত্রী থাকায় ভাড়াও খানিকটা কম পড়ে। সেই সঙ্গে লাক্সারি বাসে ভ্রমণের সুযোগও থাকছে।
করোনা ছাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াবে, ভরসা
ঘোরার মাঝে প্যাকেজে পুজো স্পেশাল খাওয়া-দাওয়া এবং নির্দিষ্ট স্থানে নাচ-গান-বাজনার মতো বিনোদন আয়োজন করা হয়েছিল। গত কয়েক বছরে এই প্যাকেজ ভালো সাড়া দিয়েছিল। পর্যটকেরা ২০২০ সালে পুজোর এই প্যাকেজ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে এবারও করোনা চলে গিয়েছে, তা নয়। বরং তৃতীয় ওয়েভের ধাক্কা নিয়ে চিন্তিত আমজনতা।
প্রস্তুতিতে খামতি নয়
এই পরিস্থিতিতে কতটা প্যাকেজ সফল হবে তা জানা নেই কারুরই তবুও এবছরও প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন তারা। আশা করছেন মুখিয়ে থাকা পর্যটকরা সফল করবে তাঁদের এই প্যাকেজ।