উত্তরবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে আরও বেশি। ফলে রাস্তায় লোকের সংখ্যা এখন অনেক কম। তার চেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হচ্ছে যাতায়াত এবং আন্ত শহর ও রাজ্য যোগাযোগ অনেক কমে যাওয়ায়। যার প্রভাব পড়েছে বাস পরিষেবাতেও।
যাত্রী সংখ্যা তলানিতে, দুশ্চিন্তায় পরিবহণ ব্যবস্থা
যাত্রী সংখ্যা তলানিতে এসে নেমেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার। তাই সেই জায়গা থেকে বাস চালিয়ে যাওয়াতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে অবশেষে পঞ্চাশ শতাংশ বাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার পোষিত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।
করোনায় আক্রান্ত বেশিরভাগ বাস চালক
উত্তরবঙ্গের সব ডিপো থেকে বাস চলছে। কিন্তু করোনার আতঙ্কে যাতে কোনও বাসে পর্যাপ্ত যাত্রী নেই। তার উপর বেশ কিছু কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্য়ে আবার বেশিরভাগই বাস চালক। ফলে গাড়ি চালাবে কে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে।
সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েও কাজ হয়নি
সংক্রমণ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কর্মীদের মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই কিট বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংক্রমণ বন্ধ করা যায়নি। তার ওপর যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় ওই সমস্ত বাস গুলি চালানোর কোন মানে হয় না বলেই মনে করছেন তারা। সেই জায়গা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য
চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য তারা বাস চালাচ্ছেন। যাতে যাত্রী সংখ্যা কমে প্রতিদিন গড়ে কুড়ি লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। কারণ বাস চালিয়ে সে ভাবে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রী কমেছে স্থানীয় এবং দূরপাল্লার দু জায়গাতেই। ফলে সারাদিন যা হচ্ছে তাতে জ্বালানির খরচও উঠছে না। সে কারণেই অর্ধেক বাস কমিয়ে দেয়াওয়া কিছুটা সাশ্রয় হবে বলে তিনি আশবাদী উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। চেয়ারম্যান জানান, গত বছরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু তবুও প্রতিটি কর্মীকে বেতন দিতে হয়েছে, এবারও বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতির দিকে নজর পরিবহণ সংস্থার
বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আপাতত কোনও অসুবিধা হবে বলে মনে করছেন না তাঁরা। তার কারণ যাত্রীসংখ্যা এমনিতেই কম, তবে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে এবং যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকলে ফের তারা বাসগুলি রাস্তায় নামাবেন।
ফের কবে বাস নামবে রাস্তায়
তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ না হলে এবং সরকারিভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হলে তারা সম্পূর্ণ পরিসীমা বন্ধ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে বেসরকারি বাস পরিষেবা কিন্তু স্বাভাবিক রাখা হয়েছে যদিও সেটা সংখ্যায় অনেক কম।