শেষ ২৪ ঘন্টায় পাওয়া খবর অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের সাড়ে তেরোশো রোগী নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২২ জনের।
মৃতদের মধ্যে 19 জন শিলিগুড়ি দুজন জলপাইগুড়ি এবং একজন আলিপুরদুয়ারে মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে কোচবিহারে ১৯৭ জন আলিপুরদুয়ারে ১০০ জলপাইগুড়িতে ১২২ শিলিগুড়িতে ২০০ দার্জিলিং জেলায় ৩৩৭ মালদায় ৩৬৭ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ২০০ জন করোনার কবলে পড়েছেন।
উত্তরোত্তর করোনা আক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় এমনিতেই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তার মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গ রয়েছে। হোটেল-রেস্তোরাঁ, শপিং মল, মার্কেট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রীর ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। সবজি, মাছ বাজার, সকাল সাতটা থেকে দশটা এবং বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে শিলিগুড়ির পাশাপাশি পাহাড়, আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিহার ও উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা ও রয়েছেন। এর মধ্য়ে হাসপাতাল, নার্সিং হোমে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন। সেখানেই মারা যান শিলিগুড়ি দক্ষিণ ভারত নগরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা।
জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন কোভিড হাসপাতালেও মারা যান একজন। ধুপগুড়ি ব্যবসায়ী সংগঠনের এক সদস্য, ওই হাসপাতালেই মারা যান। জলপাইগুড়িতে অন্যদিকে ফালাকাটা কোভিড হাসপাতালের স্কুল শিক্ষক মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। কোচবিহারে বিভিন্ন এলাকার সংক্রমিত ভর্তি রয়েছেন, তবে বেশ কিছু লোক সব জায়গা থেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এমন খবর রয়েছে।
দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ের মধ্যে মিরিক, বিজনবাড়ি, সুখিয়াপোখরি, তাকদা, নকশালপবাড়ি, মাটিগাড়া, খড়িবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া একাধিক নতুন করে করোনার খপ্পরে পড়েছেন।