Advertisement

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে পূর্ণমন্ত্রী নেই, হতাশ উত্তরবঙ্গ

প্রথমবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, উত্তরবঙ্গ থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী পেল না। কারণ যাই হোক না কেন, উত্তরের উন্নয়নের স্বার্থে উত্তরবঙ্গ থেকে পূর্ণমন্ত্রী পাওয়া উচিত ছিল বলে দাবি উত্তরের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের।

ফাইল ছবি
সংগ্রাম সিংহরায়
  • উত্তরবঙ্গ,
  • 11 May 2021,
  • अपडेटेड 2:46 PM IST
  • ভূমিপূত্র নেই হতাশ বিরোধীরা
  • হতাশা তৃণমূলের অন্দরেও
  • দুর্নীতির অভিযোগ মোহিতের

শুধুই হতাশা

প্রথমবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, উত্তরবঙ্গ থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী পেল না। কারণ যাই হোক না কেন, উত্তরের উন্নয়নের স্বার্থে উত্তরবঙ্গ থেকে পূর্ণমন্ত্রী পাওয়া উচিত ছিল বলে দাবি উত্তরের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের। সোশ্যাল সাইট থেকে চায়ের ঠিক বর্ষার কেন্দ্র এখন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। তৃণমূলের অন্দরেও এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যারা প্রাণপাত করে তৃণমূলকে যেটাতে পরিশ্রম করেছিলেন, হয়তো জেতাতে পারেননি কিন্তু আশা ছিল অন্তত শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার এর মধ্যে কাউকে মন্ত্রী করা হবে। 

পরেশে আশাভঙ্গ

পরেশ অধিকারীর নাম প্রাথমিক মন্ত্রী তালিকায় থাকার খবর মিলতেই আশা করা গিয়েছিল তিনি হয়তো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পাচ্ছেন। পরে তাঁকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলে সে আশা সমূলে বিনাশ হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই থাকছে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে মালদার সাবিনা ইয়াসমিনকে। উত্তরবঙ্গের মধ্যে পড়লেও উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক শহর মালদা উত্তরবঙ্গের শেষ সীমানা। ফলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মত প্রান্তিক শহরে সমানুপাতিক ভাবে উন্নয়নের কাজ করা এবং বোঝা সম্ভব নয় বলে মনে করছে তৃণমূলের অন্দরেই একাংশ নেতা কর্মী। দলের রোষ নজরে পড়ার আশঙ্কায় প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি তাঁরা। তবে একটা বিপুল অংশের তৃণমূল কর্মীরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ইতিহাস

এর আগে ২০১১ সালে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করে প্রথমবার মন্ত্রিসভায় বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক উন্নয়নের জন্য জঙ্গলমহলের মতো উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের আলাদা দপ্তর তৈরি করেছিলেন।

আজ পর্যন্ত মন্ত্রীরা

প্রথমবার মন্ত্রী করা হয় ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক গৌতম দেবকে। পরের দফায় কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌতমবাবুকে অন্য দফতরে সরিয়ে। 

Advertisement

উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

প্রথমে বামেরা এই আলাদা এলাকাভিত্তিক দপ্তর নিয়ে কটাক্ষ করলে উপরে মেনে নিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্যই দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। গত কয়েক বছরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ গৌতম দেবনাথ উত্তরবঙ্গে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছেন। যা এবার ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিরোধীরা কে কি বলছেন ?

চারবারের রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য মনে করেন, রাজ্য সরকার কাকে মন্ত্রী করবে তাদের ব্যাপার হলেও, ''ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, উত্তরবঙ্গের কেউ এই দপ্তরে থাকলেই সবচেয়ে ভালো হতো। ভূমিপুত্র ছাড়া মাটির সমস্যা তুলে ধরতে পড়া সম্ভব নয়।'' উত্তরবঙ্গ থেকে প্রথম বার বিধায়ক হওয়া বিজেপির শংকর ঘোষ দাবি করেছেন, ''গত ১০ বছরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আদৌ কিছু কাজ করেনি। তার উপর উত্তরবঙ্গের ভূমিপূত্রের কাছ থেকে দপ্তর কেড়ে নিয়ে বঞ্চনার তালিকা দীর্ঘ হওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকল না।'' তবে উত্তরবঙ্গের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোহিত সেনগুপ্ত মনে করেন, আসলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছিল। সে কারণে মমতা ব্যানার্জি নিজের হাতে দফতর রেখে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ''প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পরে কোনও দিন উত্তরবঙ্গের কথা কেউ ভাবেনি, এবারও ভাববেন সে আশা করি না।'' 


 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement