রকেট বাস তুলে নিচ্ছে এনবিএসটিসি
যাত্রী হচ্ছে না। ক্ষতির পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ফলে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা( এন বি এস টি সি)। আপাতত রকেট বাস চালাবে না বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বদলে চলবে সুপার
বদলে সুপার বাস চালানো হবে বলে ঠিক করেছে। সকাল ন'টায় এই বাস সার্ভিস বলে জানা গিয়েছে। তবে সুপার বাস, আগামী কয়েকদিন কেমন যাত্রী হচ্ছে তার উপর নজর রাখা হবে।
যাত্রী সংখ্যা তলানিতে
রাজ্য সরকারের যানবাহনে বিধিনিষেধের শিথিলতার পর সব জায়গায় সঙ্গে এনবিএসটিসি-র বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। শুরু হয় রকেট বাসও। পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা ক্ষতির মুখে পড়ে। অর্ধেক আসনের মধ্যে জায়গা মিলবে কি না, এই আশঙ্কায় প্রতিদিন গড়ে দশ-বারো জনের বেশি যাত্রী হচ্ছে না। ফলে উল্টো ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বাস চালিয়ে যেতে হচ্ছিল। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়ে বাসগুলি।
রাতে মাঝপথে যাত্রী মিলছে না
পাশাপাশি রকেট বাসের মূল সূচি সন্ধ্যা সাড়ে ছটায়। কিন্তু সেই সময়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে যাত্রী মিলছে না। তাই বিকল্প যে সুপার বাস চালানো হচ্ছে, সেগুলি সকাল ন টায় ছাড়া হবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিনের বেলা গাড়ি চললে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে রায়গঞ্জ, মালদা, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর সহ অন্যান্য ছোট ছোট বাসস্টপেও দাঁড়াবে। তাহলে খুচরো যাত্রীও মিলতে পারে বলে আশা এনবিএসটিসি-র।
সুপার বাসে ভাড়াও কম
আবার সুপার বাসের ভাড়া সাধারণ বাসের চেয়ে বেশ খানিকটা কম। তবে শিলিগুড়িতে থেকে কলকাতা পৌঁছতে ঘন্টা খানেক সময় সামান্য বেশি লাগতে পারে, যেহেতু একাধিক বাড়তি স্টপেজ এ বাস দাঁড়াবে।
বেসরকারি বাস চলাচল শুরু
বুধবার থেকে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ বাস ছাড়া হয়েছে। তবে কুড়ি থেকে ২৫ শতাংশ বেশি যাত্রী হয়নি। কোনও ভাবেই বেসরকারি ক্ষেত্রেও আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে অন্তত ক্ষতি পূরণ না হলে সেখানেও বাস কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাস চালক সংগঠনের সদস্যরা।