আলিপুরদুয়ার ডিভিশন চালু করতে চলেছে বাহুবলী ভ্যান। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কোনও জায়গায় ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়লে পরিত্রাণ দেবে এই বাহুবলী ভ্যান। ছোট-মাঝারি দুর্ঘটনায় পড়লে লাইনচ্যুত ট্রেনকে রেললাইনে তুলে দেওয়া কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ট্রেনটিকে গন্তব্যে রওনা করার কাজ করবে বাহুবলী ভ্যান
বাহুবলী ট্রেন
দক্ষিণ ভারতের ব্লকবাস্টার মুভি বাহুবলির নাম ধার করে হাইড্রোলিক অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মোবাইল ভ্যানটি চালু করল রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে দাবি, কোনও রকম দুর্ঘটনার মোকাবিলায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এই ভ্যান।
এই ভ্যানের বিশেষত্ব কী?
এর গুরুত্ব হল দুর্ঘটনস্থলে পৌঁছতে এই ভ্যান সড়কপথেই যেতে পারবে। এর জন্য রেলপথের প্রয়োজন পড়বে না। রাস্তা ধরে দ্রুত পৌঁছে যাবে ঘটনাস্থলে। এর আগেও রেলের এ ধরণের পরিষেবা ছিল, কিন্তু তা রেলপথেই চলত। ফলে অনেক সময় রেলপথ ব্লক থাকলে সেখানে পৌঁছতে অসুবিধায় পড়তে হতো। সড়কপথেই রিলিফ ভ্যান চলতে পারার কারণে, বিকল্প রাস্তা দিয়ে এটি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে। মঙ্গলবারই নিউ কোচবিহার রেলস্টেশনে এই উদ্বোধন করেন ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং।
অত্যাধুনিক সুবিধা থাকবে
এই ভ্যানে থাকবে অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক যন্ত্রপাতি এবং সঙ্গে থাকবেন দক্ষ রেল কর্মীদের একটি দল। তারাই দ্রুত লাইনচ্যুত কামরাকে লাইনে তোলা কাজ করবেন। পাশাপাশি দ্রুতকালীন মেরামতির পক্ষেও এই ভ্যানটিতে সমস্ত রকম সুবিধা থাকবে। থেকে মাঝারি দুর্ঘটনায় কাজ করবে এই বাহুবলী ভ্যান।
নিউ কোচবিহার থেকে অপারেট করবে ভ্যানটি
রেলসূত্রের খবর নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনে থাকবে এই হাইড্রোলিক রিলিফ ইকুইপমেন্ট ভ্যানটি। রাস্তার পাশে থাকা বা রেলস্টেশন কিংবা রেলীয়ার্ড এলাকায় কোন যাত্রীবাহী বা মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হলে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে ভ্যানটি। আপাতত নিউ কোচবিহার স্টেশনে ভ্যানটি রাখা হলেও দেশে এর ধরনের অনেকগুলি ভ্যান নামানো হয়েছে এবং চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিটি জোনেই একটি করে এমন রিলিফ ভ্যান স্থাপন করার। যাতে ছোট থেকে মাঝারি দুর্ঘটনা সহজেই সামলে ফেলতে পারে এই হাইড্রোলিক ভ্যান।