রাজ্যের বাইরে থেকে এসে রোগীরা মোটা টাকার বিনিময়ে বেড দখল করে নিচ্ছে। অথচ স্থানীয়রা বেড পাচ্ছে না। এমন অভিযোগে জেরবার দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শিলিগুড়িতে শতাধিক নার্সিংহোম। অথচ বেড চাইলে মিলছে না বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সরকারি এবং প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না তা নয়, তবু সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
বহিরাগতদের প্রতি ক্ষোভ
একে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। তার উপর বাইর থেকে পয়সাওয়ালা রোগীরা নার্সিংহোম দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। স্থানীয়রা বেড পাচ্ছে না। শিলিগুড়িতে এমনই অভিযোগে জেরবার স্বাস্থ্য দপ্তর।
অভিযোগের তালিকা
কখনো মোটা টাকার বিনিময়ে বেড বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ, আবার কখনও বেড থাকা সত্বেও মুমূর্ষু রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে নানা নার্সিংহোমে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সরবরাহ কম। এমনকী কোভিড টেস্ট করাতেও বেসরকারি ল্যাবগুলি ও নার্সিংহোম মাত্রাতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের সক্রিয় ভূমিকা দাবি
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ভূমিকা, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সিপিএমের পক্ষ থেকে এ নিয়ে সিএমওএইচে এর কাছে অভিযোগ জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
গৌতম দেবের হস্তক্ষেপ
ইতিমধ্যেই বিষয়টি কানে গিয়েছে সদ্য নিযুক্ত শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেবের। এতদিন মন্ত্রী থাকার সুবাদে এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দা হওয়ার কারণে তিনি সমস্যাগুলো ভালই জানেন। দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে নার্সিংহোম গুলিকে ডেকে বৈঠক করেন গৌতম বাবু এবং রোগী ফেরানো যাবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন নার্সিংহোম গুলিকে। কিন্তু তারপরও সব জায়গায় নির্দেশ পালন হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফের পুলিশি হস্তক্ষেপ
পরিস্থিতি এতটাই আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে। গৌতম বাবু বৈঠক করে নির্দেশিকা জারি করার পরও প্রধান নগর থানায় আলাদা করে বৈঠক ডেকে নার্সিংহোম গুলিকে রোগী ফেরালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রধান নগর থানার আইসি শুভাশিস চাকিও।
শিলিগুড়ির উপর নির্ভর তিন রাজ্যের রোগী
মূলত শিলিগুড়ি কে কেন্দ্র করে অসম, বিহার, সিকিম, তিন রাজ্যের সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সহ অন্যান্য জেলার মানুষ প্রতিনিয়ত চিকিৎসার জন্য আসেন। বাংলাদেশ, নেপাল-ভুটানের রোগীরাও অন্যান্য সময় এলেও এই সময় সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে তাদের সংখ্যা নগন্য। বেড পেতে সমস্যা হওয়ার কারণে অনেকেই অভিযোগ তুলছেন আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করার পর তারপরই বহিরাগতদের বেড দেওয়া হোক। এ বিষয়ে ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।