আশঙ্কা সত্য়ি হল!
অবশেষে আশঙ্কা কি সত্যি হল! গত এক মাস ধরে বিহারের গঙ্গায় ভেসে থাকা লাশের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল মালদার গঙ্গাতেও। লাশ ভেসে আসতে পারে আশঙ্কায় গঙ্গার মাছ, পানীয় জল নেওয়া সহ সমস্ত রকম জলের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন গঙ্গা তীরবর্তী তো বটেই অন্য নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারাও। তবে কিছুই মেলেনি। ফলে ধীরে ধীরে আতঙ্ক কমছিল। শনিবার এক লহমায় বদলে গেল গোটা পরিস্থিতি। ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গঙ্গায় জোড়া লাশ
শনিবার গঙ্গা নদীতে মৃতদেহ ভেসে থাকার ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার ভুতনি থানার কোশিঘাট এলাকায়। শনিবার দুপুর নাগাদ বিহার সীমানা লাগোয়া মালদায় গঙ্গার ঘাটে দেখা গেল জোড়া লাশ।
আতঙ্কে থরহরিকম্প
লাশ ভাসতে দেখার ঘটনা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকাবাসীর অনুমান করে, দেহদুটি বিহারে ভাসিয়ে দেওয়া করোনা আক্রান্তদের হতে পারে। আতঙ্কে থরহরিকম্প শুরু হয়। অনুমান ঘিরে তৎপর প্রশাসনের কর্তারাও। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে দেহ উদ্ধার করতে ছুটে যায় ভুতনি থানার পুলিশ।
জোড়া লাশের ইতিকথা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর নাগাদ দুটি লাশ গঙ্গা নদীতে ভেসে আসছে দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তা দেখেই টিভিতে দেখা বিহারে গঙ্গায় লাশ ভাসার কথা মাথায় আসে তাঁদের। একটি লাশ ভেসে চলে গেলেও অন্য একটি মৃতদেহ আটকে যায় নদীর পারে।এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভূতনি থানার পুলিশ সহ এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
প্রশাসনের তরফে প্রচার শুরু
আতঙ্কে ফের নতুন করে সমস্য়া তৈরি না হয়, তার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে মালদা জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের দফতর থেকে বিবৃতি জারি করে অযথা আতঙ্কিত হতে না করা হয়েছে। ওই লাশ দুটি আদৌ বিহার থেকে এসেছে কি না, অথবা করোনা আক্রান্তের লাশ কি না, তা পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার আগে অযথা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে জানানো হয়েছে। যদিও চাপা আতঙ্ক গ্রাস করেছে এলাকাবাসীর মধ্যে।