Gajaldoba Bhorer Alo: ইতিমধ্যেই পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে জলপাইগুড়ির গজলডোবা পর্যটন কেন্দ্র। একের পর এক পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে পর্যটকদের নজর টানতে। এখানকার সরকারি রিসর্টগুলি যে কোনও স্টার রিসর্টের সমতুল বা সুন্দর। সেখানে তৈরি হয়েছে সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে একটি সেতু। সেটি পর্যটকদের কাছে সেলফি জোনে পরিণত হয়েছে। এবার সেখানে তৈরি করা হচ্ছে শিকারা জোন। এমনটাই চিন্তাভাবনা রাজ্য পর্যটন দফতরের।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র (Mamta Banerjee) উদ্যোগে সাধারণ বাঁধ ও জলা পরিণত হয়েছে স্বপ্নের প্রকল্পে।পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে বেশ কিছু অভিনব চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলেছে রাজ্য। সেগুলোকে একে একে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বাবুল। সেখানেই এসে এমনই নয়া পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন বাবুল। পর্যটন দফতরের স্থানীয় আধিকারিক সহ জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে একটি বৈঠক করেন তিনি। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, ‘পর্যটন মরশুমে রাজ্যের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র গজলডোবায় যে হারে ভ্রমণপিপাসুদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে সেদিকে খেয়াল রেখে অবিলম্বে তিস্তার বিশাল জলাধারকে ঘিরে শিকারা ভ্রমণ চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
কাশ্মীরের ডাল লেকের মতোই সুসজ্জিত শিকারায় ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। গজলডোবার শিকারা ভ্রমণ যেন কাশ্মীরের মতোই মনোগ্রাহী ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয় সে বিষয়ে পরিকল্পনা ছকে নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে তা বাস্তবায়িত করা হবে, তা নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। দেশের সেরা শিকারা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিতে চায় পর্যটন দফতর বলেও দাবি বাবুলের।গজলডোবার নদীবক্ষে এই মুহুর্তে ৭২টি নৌকা রয়েছে। নৌকাগুলোকে শিকারায় রূপান্তরিত করে সকলেই যাতে লাভবান হতে পারেন এমন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
গজলডোবা ভোরের আলো(Bhorer Alo)- গজলডোবা প্রকল্প বেঙ্গল সাফারি পার্কের মতোই শিলিগুড়িকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। হাতের কাছে পর্যটনের এত বড় সম্ভার হেলায় হারানো উচিত হবে না। এখানে শিলিগুড়ির বাসিন্দারা উইকএন্ড কাটাতে পছন্দ করেন। বেশিরভাগই সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ঘরে ফেরেন। সেটা যেমন সম্ভব, তেমনই পর্যটন দফতরের লাক্সারি ও সুদৃশ্য বাংলোতে একদিন কাটিয়ে আসাটাও মন্দ অভিজ্ঞতা নয়। একদিকে তিস্তা নদী, অন্যদিকে পাখিরালয়। খোলা হাওয়া সঙ্গে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল। রাতে হাতি আসে অহরহ। তাই থ্রিলিং এক-আধদিন কাটাতে পারেন। এখানে সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে একটি সেতু তৈরি হয়েছে সেটিও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।