ফের উত্তপ্ত হচ্ছে পাহাড়
ফের উত্তপ্ত হচ্ছে দার্জিলিং পাহাড়। দার্জিলিং এবং কালিম্পংকে ঘিরে নতুন করে অশান্তির বাতাবরণে ঢেকে গিয়েছে। বিনয় তামাং দল ছেড়েছেন কয়েকদিন হল। আর তারপর থেকেই নতুন করে সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। প্রতিদিনই বিমল গুরুং বনাম এখন বিনয় তামাং।
বিনয়পন্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে
এখন বিনয় তামাং দল ছাড়ার পরই বিনয়পন্থী মোর্চার অন্দরে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। অনিত থাপার নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা দল ছেড়েছেন। বেশিরভাগই গিয়েছেন বিমল গুরুংয়ের দলে। দু-একজন এখনও জল মাপছেন। আর বাকিরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গিয়েছে।
একটাই মোর্চা থাকবে, হুঁশিয়ারি রোশন গিরির
বিনয় তামাং কি করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রকাশ্যে তিনি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কোথাও মুখ খোলেননি। কিন্তু বিমল গুরুং এবং রোশন গিরি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এরপর থেকে মোর্চা একটাই থাকবে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বেই পরবর্তীতে কাজ করে চলবে। যারা মোর্চায় ফিরতে চান, তাঁদের যেমন স্বাগত, তেমনই অন্য কোনও একই নামের দলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না এবং তা অবৈধ।
বিমলের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকের
মঙ্গলবারই দার্জিলিংয়ের দলের শ্রমিক সংগঠনের মিরিক মহকুমা সভাপতি ইস্তফা দিয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে জানা গিয়েছে। এরা সকলেই বিনয়ের অনুগত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিনয় দল ছাড়তেই তাঁরা দলের মধ্যে নিজেদের অবস্থান নড়বড়ে বলে মনে করছেন।
অনিতের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ
এই মুহূর্তে পাহাড়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হতে চলেছে। যদিও প্রকাশ্যে তার প্রভাব এখনও পর্যন্ত পড়েনি। তবে অনিত থাপা দল ভাঙতে কিংবা নতুন দল গড়তে এই মুহূর্তে আগ্রহী নন। বিনয় তামাং-এর নেতৃত্বে এক সময় যে দলটি তৈরি হয়েছিল ২০১৭ সালে, তার চালিকাশক্তি এখন অনিতের হাতেই। নিজেকেই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক যৌথ পদে রেখে কাজ চালাচ্ছেন অনিত। যা দলের অনেকের মনপসন্দ হয়নি। একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন বলে মনে করছে একাংশ।
দল ছাড়া নিয়ে চিন্তিন নই, অনিত থাপা
যদিও অনিত নিজে জানাচ্ছেন, দু-চারজন দল ছাড়লে কিছু যায় আসে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলবদল প্রক্রিয়া চলতে থাকে বলে অনিত থাপার দাবি। তবে আগামী মাস খানেকের মধ্যে পাহাড়ে নতুন সমীকরণ প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিনয় কবে মুখ খোলেন তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।