বিধানসভা নির্বাচনের গণনার পর থেকেই উত্তরবঙ্গের দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে রাজনৈতিক হিংসার খবর মিলছে। একাধিক রাজনাতিক কর্মী খুন, প্রাক্তন বিধায়ক ও পরাজিত প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফলে এলাকায় অস্থিরতা অব্যাহত।
ঘর ছাড়া বহু মানুষ
সরকারি হিসেব অনুযায়ী রাজনৈতিক গন্ডগোলের জেরে এই দুই জেলা থেকে প্রায় ১০০ জন মহিলা, পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে পাশ্ববর্তী রাজ্য অসমে। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলা থেকে ৩০ জন শিশু সমেত মহিলা, এবং পুরুষরা প্রাণ বাচানোর তাগিদে আশ্রয় নিয়েছে অসমে।
অসম সরকারের সাহায্য
দুই জেলা থেকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া এ রাজ্যের মানুষদের অসমের শ্রীরামপুর, বক্সিরহাট, এবং গোলকগঞ্জে আশ্রয় দিয়েছে সে রাজ্যের প্রশাসন। অসমের শ্রীরামপুর বাজার সংলগ্ন একটি প্রাইমারী স্কুলে রাখা হয়েছে কোচবিহার থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের। সেখানেই তাদের দুই বেলা রান্না করে খাবার ব্যাবস্থা করেছে আসাম রাজ্যে প্রশাসন।এছাড়াও সে রাজ্যের প্রশাসন শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার বিশুদ্ধ পানীয় জল, এবং মহিলাদের জন্য শৌচাগার নির্মান করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোচবিহার জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল অসমে যায়।সেখানে অসমের কোকড়াঝাড় জেলার প্রশাসন ও পুলিশের সাথে কথা বলে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। কোচবিহার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে কয়েকজন অসমে গেছিলেন। তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বিজেপির অভিযোগ
আলিপুরদুয়ার বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, ভোট গণনার পর থেকে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমুলের সন্ত্রাসের জন্যই এই অস্থিরতা। গোপাল দাস জানান গণনা পরবর্তী সন্ত্রাস সবচেয়ে বেশি কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমায়। এই মহকুমার বালাজান, জোড়াই, রামপুর, ফলিমারি এলাকা থেকে বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃনমুলের তান্ডবে রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছে। অন্যদিকে কোচবিহারের মতো হামলার ঘটনা ঘটছে আসাম সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলাতেও। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের মাঝেরডাবরি, বারুইপাড়া,পাকড়িগুড়ি এলাকা থেকে বেশ কিছু মানুষ রাজ্য ছাড়া বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের সাফাই
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, জেলায় তৃণমূল কোনও সন্ত্রাস করেনি। উল্টো বিজেপির গুন্ডা বাহিনীর তান্ডবে আমাদের এক ব্লক সহ-সভাপতি খুন হয়েছেন।