Advertisement

অভিভাবকহীন শিলিগুড়িতে নিকাশি বেহাল, বর্ষার আগে দুশ্চিন্তা

সামনেই বর্ষা। তার আগে কি অবস্থা দাঁড়াবে তা জানা নেই কারুরই। পুর কমিশনার এত কিছু জানেন না। তিনি দপ্তরের কাজ নিয়েই ব্যস্ত। অন্যদিকে পুর বোর্ড ভেঙে গিয়েছে কয়েক মাস আগেই। নতুন করে কবে নির্বাচন হবে তা এখনও ঠিক নেই। ফলে পরিষেবা ফিরবে কবে, সে বিষয়ে অন্ধকারে সাধারণ মানুষ।

শিলিগুড়ি পুরনিগম-ফাইল চিত্র
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 30 Apr 2021,
  • अपडेटेड 4:11 PM IST
  • একাধিক ওয়ার্ডে জমছে জঞ্জালের পাহাড়
  • নাগরিক পরিষেবা তলানিতে
  • বর্ষায় ব্য়পক সমস্যার আশঙ্কা

শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৫ নম্বর ওয়ার্ড, ৬ নম্বর ওয়ার্ড, ৭ নম্বর ওয়ার্ড সহ একাধিক ওয়ার্ডে জঞ্জাল অপসারণ অবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ।

কি বিপদ?

সামনেই বর্ষা। তার আগে কি অবস্থা দাঁড়াবে তা জানা নেই কারুরই। পুর কমিশনার এত কিছু জানেন না। তিনি দপ্তরের কাজ নিয়েই ব্যস্ত। অন্যদিকে পুর বোর্ড ভেঙে গিয়েছে কয়েক মাস আগেই। নতুন করে কবে নির্বাচন হবে তা এখনও ঠিক নেই। ফলে পরিষেবা ফিরবে কবে, সে বিষয়ে অন্ধকারে সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি, মার্চ এর মধ্যেই জঞ্জাল পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়ে যায়। নর্দমা সাফাই করে জল যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। যাতে বর্ষায় জল উপচে পড়লে তার সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা লোকের বাড়িতে ঢুকে না আসে।

আশঙ্কা ও আতঙ্ক

এ বছর সে সবের বালাই নেই। কারণ পুর বোর্ড নেই। প্রশাসক আছে।  তবে তার পক্ষে শিলিগুড়ি শহরের পুর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে আসন্ন বর্ষায় শহরের অবস্থা কি রকম হবে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগর রোড সংলগ্ন হাইড্রেন, ৭ নম্বর, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী নিকাশি নালার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। চট করে নজর করলে নিকাশি নালা না মনে করে ময়লা ফেলার ডাস্টবিন বলে ভ্রম হতে পারে। ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এমনিতেই নর্দমার মধ্যে পানীয় জলের কল রয়েছে। বর্ষাকালে তা জলে ডুবে যায়। সেইসব এলাকায় ব্যাপক ভাবে পেটের রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

অভিভাবকহীন শহর

পুর বোর্ড ভেঙ্গে গেলেও কাউন্সিলরদের ইকো অর্ডিনেটর করে কাজ চালানো হচ্ছিল বেশ কিছুদিন। নির্বাচনের আগে তাদের হাত থেকেও ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন রীতিমতো অভিভাবকহীন সমস্ত এলাকাই। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি জানান, দ্রুত নির্বাচন না হলে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হবে। পুর পরিষেবা পাওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার। যা নির্বাচিত বোর্ড ছাড়া কেউ দিতে পারে না।

Advertisement

 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement