ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি
পৃথক উত্তরবঙ্গ দাবি নিয়ে ইস্যু তৈরি করছে বিজেপি। একের পর এক বিজেপি নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে আবারও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে দিল অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ। শুধু পৃথক রাজ্যের দাবি নয় এই ইস্যুকে কেন্দ্রের কাছে উপস্থাপন করতে না পারার জন্য দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার পদত্যাগ দাবি করলেন তারা।
রাজু বিস্তার পদত্যাগ দাবিতে পোস্টার
রাজু বিস্তার পদত্যাগ দাবি করে তারা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় দার্জিলিঙে পোস্টার ও দিলেন। অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ (এবিজিএল) এর তরফে এসপি শর্মা জানিয়েছেন, এই পোস্টার গোর্খা লিগের তরফেই দেওয়া হয়েছে। আমরা সাংসদ রাজস্থান পদত্যাগ চাই।
লিগ নেতাদের দাবি
এসপি শর্মার দাবি, ''আমরা প্রত্যেকবার দার্জিলিং থেকে যে সাংসদ পাঠাই, তার মূল দাবি থাকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড। এবার আমরা যে বিজেপি সাংসদ পাঠিয়েছি, তাঁকেও একই কথা বলা হয়েছিল। তিনি দার্জিলিংয়ের মানুষের গলার স্বর হতে পারেননি।"
কোনও সাংসদই দাবি তোলেন না
সেই যশবন্ত সিং এর আমল থেকে চলে আসছে। তারপর সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া এবং শেষে রাজু বিস্তা। ১২ বছর ধরে বিজেপির কোনও বিধায়ক গিয়ে দার্জিলিং এর মানুষের ইচ্ছার কথা পার্লামেন্টে তোলেননি ব লে তাঁর অভিযোগ।
পদত্যাগ করা উচিত
এখন যখন পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি উঠছে, তাতে বিজেপি সাংসদ-বিধায়করা সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু পৃথক গোর্খাল্যান্ড পুরনো ইস্যু। যেটা আগে তোলা উচিত ছিল, তা বিজেপির কোনও নেতা বিশেষ করে স্থানীয় সাংসদ তোলেননি। আর যদি তিনি এই কাজ করতে না পারেন তাহলে তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
জনের দাবি ব্যক্তিগত মত !
এসপি শর্মা আরও জানান, তিনি বিজেপি সাংসদ এর সঙ্গে যখন পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে আলোচনা করেছেন, তখন সাংসদ তাঁদের জানান, এটি জন বারলার ব্যক্তিগত দাবি। সুতরাং তা নিয়ে তার কিছু বলার নেই। কেউ তাঁর ব্যক্তিগত মত রাখতে পারেন। অথচ তিনি সংবাদমাধ্যমকে জনের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে তিনি দ্বিচারিতা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনিতেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তাল হয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ। পৃথক রাজ্যের দাবিতে প্রতিদিনই সমাজের সব স্তরের মানুষ তাঁদের বক্তব্য পেশ করছেন। তার মধ্যে আবার নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি, উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আঁচ আরও খানিকটা গনগনে করে তুলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
মদন তামাংয়ের পর
২০১০ সালে গোর্খা লিগ সভাপতি মদন তামাংকে দার্জিলিংয়ের চক বাজারে বক্তব্য রাখার সময় কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। তিনি গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক ছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী ও পুত্র দল চালালেও পিছনের সারিতেই থেকে গিয়েছে। এবার ফের নতুন করে গোর্খ্যাল্য়ান্ডের দাবিতে প্রথম সারিতে আসতে পারে কি না তা দেখার।