পুজোর আগেই চালু হবে ভিস্তাডোম কোচ !
পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য সুখবর। ট্রেনে করে ডুয়ার্সের সফর এখন হবে আরও বেশি রোমাঞ্চকর। ট্রেনে বসে চাক্ষুষ করা যাবে ডুয়ার্সের পাহাড় এবং অভয়ারণ্যের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপ-রস-গন্ধ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী ট্রেনে জুড়তে পারে রেলের নতুন ভিস্তাডোম কোচ।
জঙ্গল এখন চোখের সামনে
উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং ডুয়ার্সের প্রকৃতি সৌন্দর্য বরাবরই ভিনদেশ ও রাজ্যের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। তবে ডুয়ার্সে পাহাড়ের গা বেয়ে ঘন অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাত্রা আরও বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু পর্যটকদের কাছে। তবে এই যাত্রাপথে যদি দেখা মেলে বন্য জীবজন্তুর তবে সোনায় সোহাগা। এতদিন পর্যন্ত রেলের সাধারণ কামরার ছোটো জানালা দিয়ে মিলত ডুয়ার্সের প্রকৃতির সৌন্দর্যের হাতছানি। যা পর্যটকদের কাছে মন ভরার মত ছিল না।
কোচ তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে
তবে এবার ডুয়ার্সের ঘন অভয়ারণ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিতে চলেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। মুম্বই থেকে পুনে রুটের মত এবার শিলিগুড়ি থেকে সেবকের ঘন অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে ডুয়ার্স যাওয়ার রুটে জুড়তে চলেছে ভিস্তাডোম কোচ। রেল বোর্ডের অনুমোদনের পর চেন্নাইয়ে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে জোর কদমে চলছে কোচ তৈরির কাজ।
চারটি কোচ নিয়ে শুরু হবে যাত্রা
জানা গিয়েছে, প্রথম ভাগে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে ৪ টি কোচ নিয়ে শুরু হতে চলেছে এই পরিষেবা। শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে আলিপুরদুয়ারগামী যে কোনও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জোড়া হবে এই কোচটি। অন্যদিকে অসমগামী একটি ট্রেনে লামডিং থেকে বদরপুর পর্যন্ত রেলপথে থাকবে একটি কোচ। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, সুহানন চন্দ জানান, অত্যাধুনিক ডিজাইনের এই ভিস্তাডোম কোচে থাকবে কাঁচের বড়ো জানালা এবং ছাদও হবে কাঁচের। প্রতিটি কামরায় ৪৪ টি উন্নতমানের বসার সিট থাকবে এবং ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে পারবে সিটগুলি। যাতে সেখানে থাকা যাত্রীরা পরিবেশের সৌন্দর্য স্বাচ্ছন্দে উপভোগ করতে পারে।
ব্র্যান্ডিং-এ জোর দেওয়ার দাবি
পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন , বেশ কয়েক বছর আগে "ডুয়ার্স অন হুইলস" নামে একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল রেলের কাছে। তবে রেলের এই ভিস্তাডোম কোচের সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানাই। এর ফলে দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন যেমন দার্জিলিংয়ের আকর্ষণ তেমনই, ডুয়ার্সের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ বাড়াবে এই কোচ। তবে এই বিষয় নিয়ে পর্যটনশিল্পের স্টেকহোল্ডারদের সাথে রেল যদি আলোচনা করে এর মার্কেটিং অ্যান্ড প্রমোশনের বিষয় ঠিক করে তবে এই প্রকল্প সুদূরপ্রসারী হবে।