"১১ জন গোর্খাকে গুলি করা ও বিমল গুরুং (Bimal Gurung) শিবিরের নেতাদের বাড়ি ছেড়ে থাকার পেছনে দায়ী তৃণমূল।" এমনটাই অভিযোগ করলেন দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। তিনি আরও বলেন,"তৃণমূল (TMC) ও মোর্চার (GJM) জোটে গোর্খাদের সমস্যার সমাধান হবে কি না সেই বিষয়ে মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।" এক্ষেত্রে সাংসদের দাবি, "একমাত্র বিজেপিই পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে পারবে এবং ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়কে উপজাতির মর্যাদা দেবে।"
কয়েক বছর অন্তরালে থাকার পর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছেন বিমল গুরুং। তিনি প্রকাশ্যে এসেই ঘোষণা করেছেন, এনডিএর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাঁরা আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন। যদিও নির্বাচনে বিমলের সমর্থন নেওয়া হবে কি না সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে বিমলের প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ফের আন্দোলিত হয়েছে পাহাড়ে রাজনীতি। একদিকে যেমন বিমলের প্রকাশ্যে আসায় উজ্জিবীত তাঁর অনুগামীরা। অন্যদিকে তেমনই বিমলের বিরুদ্ধে পোস্টারও দিয়েছে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী। পোস্টারে পাহাড়ে যাতে গুরুং আর না ফেরেন এমন দাবিও জানানো হয়। প্রসঙ্গত বিমল গুরুং অন্তরালে যাওয়ার পড়েই জিটিএর প্রধান হন তাঁর এক সময়ের ছায়াসঙ্গী বিনয় তামাং। আর তারপর থেকেই ফাটল বাড়তে থাকে মোর্চার অন্দরে।
গুরুং-এর প্রকাশ্যে আসাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের রাজনীতি সরগরম হওয়ার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন বনয় তামাং। যদিও পরে বিনয় বলেন, "বৈঠকে বিমল গুরুংকে নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা আমাদের সিলেবাসে নেই।" তবে গোটা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহল অবশ্য অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এতদিন বিনয় গোষ্ঠীর পর এবার যেহেতু বিমলরাও তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে চাইছে, সেক্ষেত্রে পাহাড় নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। আর সেই কারণেই আগেভাগে ফের একবার গোর্খাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসকে সামনে রেখেই ময়দানে নামার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।