হাসপাতালে শয্যা নেই। মোটা টাকা খরচ করে করোনার চিকিৎসায় নার্সিংহোমে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই বেশিরভাগেরই। তাঁদের কথা ভেবে শিলিগুড়িতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে ফিল্ড হাসপাতাল।
কি এই ফিল্ড হাসপাতাল ?
যেমনটা যুদ্ধের সময় তড়িঘড়ি তাঁবু লাগিয়ে হাসপাতাল তৈরি হয়। ঠিক তেমনই। শিলিগুড়িতে একটি ভবনে এই ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। বিনামূল্যে মানুষ সেখানে চিকিৎসা করাতে পারবেন। শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, লিভার ফাউণ্ডেশন, কোরাম ফর হিউম্যানিটির যৌথ উদ্যোগে তা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনবাত্তি মোড়ে একটি ভবনে হচ্ছে হাসপাতালটি
শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ে একটি ভবনে এমন হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। ২৫ টি অক্সিজেন যুক্ত বেড সেখানে থাকছে। রোগীদের জন্য ডাক্তার, নার্স থাকছে। তবে রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক হলে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতাল প্রস্তুত হয়ে যাবে
আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে সেই হাসপাতালের কাজ তৈরি করে ফেলা হবে। সেখানে যারা নার্সের দায়িত্বে থাকবেন তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে যাতে বেড বাড়ানো যায় তাঁর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে নার্সিংহোমগুলিতে চিকিৎসা করাতে গিয়েও লক্ষ লক্ষ টাকার বিল মেটাতে হচ্ছে। তারপরও বেড মিলছে না। যে কারণে শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন সহ বাকি দুটি সংস্থা ফিল্ড হাসপাতাল বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
আপাতত তিন মাসের লক্ষ্যে চালু হচ্ছে হাসপাতালটি
আপাতত ৩ মাস হাসপাতালটি চালু থাকবে। রোগী না আসলেও তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুত হয়ে থাকতে চাইছেন সকলে। শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্য অভিজিৎ মজুমদার বলেন, এখানে ২৫ টি বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আগামীতে আরও বেড বাড়ানো হতে পারে। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা হবে। তাঁদের জন্য সব সময় ডাক্তার ও নার্স থাকছে।
প্রয়োজনে রোগীকে বিনামূল্যে বাড়ি থেকে আনা হবে
কোনও রোগী আর্থিকভাবে দুর্বল থাকলে তাঁদের বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে এখানে নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ সারা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে বেড সহ চিকিৎসার সরঞ্জাম পৌঁছাবে সেখানে।