আবার রবিনসন স্ট্রিট
ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রাজ্যে। এবার শিলিগুড়িতে তিন দিন ধরে বন্ধুর মৃতদেহ আগলে বসে থাকল যুবক। মানসিক বিকৃতি! নাকি অন্য কোনও অভিসন্ধি, খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মৃত বন্ধুকে আগলে তিনদিন
ঘরের মধ্যে তিন দিন ধরে বন্ধুর মৃতদেহ আগলে রইল বন্ধু। কাউকে না জানানোয় সন্দেহের বশে প্রাথমিকভাবে ওই যুবককেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
দুর্গন্ধেই সামনে আসে বিষয়টি
ঘরের মধ্যে তিনদিন ধরে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। সেই অবস্থায় বন্ধুর দেহ আগলে ঘরের মধ্যেই থাকলেন আরেক যুবক। শেষমেষ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তারপরই খোঁজ খবর করতেই প্রকাশ্য়ে আসে বিষয়টি।
আটক নির্বিকার বন্ধু
শনিবার সকালে ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনা ঘিরে এদিন সকালে বাগডোগরার ভুজিয়াপানি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যুবকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।মৃতের নাম রামকিশোর গুরুং। হাসিমারার বাসিন্দা ওই যুবক। রাহুল ঝা নামে ওই যুবককে আটক করেছে বাগডোগরা থানার পুলিশ।
তিনদিন ধরে কেউ বাড়ি থেক বের হয়নি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল ঝা বাগডোগরার ভুজিয়াপানি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। কিছুদিন আগে সেখানে আসে রামকিশোর গুরুং। করোনার জন্য বাড়ির মালিক যুবককে বাড়িতে না থাকার কথাও বলেন। গত তিনদিন ধরেই দুই যুবককে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেননি প্রতিবেশীরা।
মৃতদেহ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে
শনিবার সকাল থেকে তাঁদের ঘর থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এরপরই বাসিন্দারা যান। ঘরে রামকিশোরের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার খবর পেয়ে আসে বাগডোগরা থানায় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক যুবক নেশাসক্ত। এদিকে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে কেন তিন দিন ধরে যুবকের মৃত্যুর খবর তাঁর বন্ধু জানালো না তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। এদিন বাড়ি মালিক জানান, কয়েকদিন আগে রামকিশোর গুরুং এসেছিলেন। কাজের জন্য এখানে এসেছিল বলে জানান। কিন্তু কয়েকদিন ধরে দুই যুবকের কাউকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখেননি। দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে জানায় আশপাশের বাসিন্দারা। এরপরই ঘটনা সামনে এসে। স্থানীয়দের অনুমান, মৃত যুবক অতিরিক্ত মাদক নেওয়াতেও মারা যেতে পারে। মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাগডোগরা থানার পুলিশ।