Siliguri Mahakuma Parishad Election : রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন। গতবার পর্যন্ত বহুমুখী লড়াই হলেও এবারে তৃণমূলের প্রতিপক্ষ তৃণমূলই। সঙ্গে বামেরাই সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী। কংগ্রেস, বিজেপি থাকলেও তাঁরা নিজেরাই আশবাদী নন। বরং অনেক বেশি মাথা ব্যথা নির্দল নিয়ে। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা কড়া করা হয়েছে। রবিবার নির্বাচনে যাতে কোনও রকম গোলমাল না হয়, সে বিষয়ে কড়া নজর রাখছে পুলিশ। শুরু হয়ে গিয়েছে বিধিনিষেধও।
পুলিশি নিরাপত্তা ভোটকে ঘিরে
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন প্রায় ৮ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। শুক্রবার বিকেল ৫ টা থেকেই বর্ডার সিল করা হচ্ছে। নাকা চেকিং বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকবে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও RAF।সিসি ক্যামেরা ও বিশেষ বিশেষ বুথে ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা থাকবে। জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশ দিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ভোট হলে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, প্রাক্তন মেয়রও পুরমন্ত্রী বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।
নির্বাচনে ফেভারিট তৃণমূলই
গতবারও নির্বাচনে লড়াই ছিল ত্রিমুখী। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল। বামেদের শক্তি খাতায় কলমে এখনও আছে। সংগঠনও রয়েছে তৃণমূল স্তরে। তবে শিলিগুড়ি পুরভোটের ফলের পর এবার ফেভারিট তকমা হারিয়েছে তারা। কংগ্রেস বহু বছর ধরেই ক্ষয়িষ্ণু। আপাতত তারা পিছনের আসনে। বিজেপি বাইরে যতটা প্রচার চালাচ্ছে, তৃণমূল স্তরে তার ছিঁটেফোঁটাও নেই। বিশেষ করে শেষ বিধানসভা নির্বাচনের পর কর্মীদের মনোবল তলানিতে। তবে তৃণমূলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তৃণমূলই। অর্থাৎ দলত্যাগী নির্দল প্রার্থীরা।
নির্দলই এখন মাথাব্যথা তৃণমূলের
নির্বাচনের প্রাক্কালে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের নিয়ে ফাঁপড়ে তৃণমূল ও বিজেপি। দুদলেই টিকিট না পেয়ে বহু নেতা-নেত্রী নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। নির্দল প্রার্থীরা জিতুক বা হারুক, দলের ভোটব্যাঙ্ক কাটবে বলে মনে করছে। ফলে নির্ণায়ক হতে পারেন তাঁরাই এমনটাই আশঙ্কা তাঁদের। তড়িঘড়ি নির্দলদের বহিষ্কারের ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে ৩০ জনেরও বেশী নেতা, কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ জানিয়েছেন, দলের নিয়ম না মেনে অনেকেই নির্দলে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের পাশে দল দাঁড়াবে না।
দলত্যাগীরা ভোগাচ্ছে বিজেপিকেও
এদিকে বিজেপি শিবিরেও একই ছবি। বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষুব্ধরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। পবুঝিয়েও লাভ হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি আনন্দময় বর্মন জানিয়েছেন, দল বিরোধী কাজ করলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকলেই আশা করে থাকে। কিন্তু সকলকে টিকিট দেওয়া কোনও সময় সম্ভব নয়।