Advertisement

শিলিগুড়িতে তৃণমূল-বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ধস্তাধস্তি, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

তৃণমূলের প্রার্থীকে চড় মারার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। পালটা বিজেপি প্রার্থীকে শৌচাগারে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আচমকা এমন ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা শিলিগুড়ি।

বিজেপি প্রার্থী
জয়দীপ বাগ
  • শিলিগুড়ি,
  • 12 Feb 2022,
  • अपडेटेड 7:32 PM IST
  • তৃণমূল-বিজেপি ধস্তাধস্তি শিলিগুড়িতে
  • পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগ
  • ভোট শেষের পর উত্তপ্ত শিলিগুড়ি

তৃণমূলের প্রার্থীকে চড় মারার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। পালটা বিজেপি প্রার্থীকে শৌচাগারে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আচমকা এমন ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোটা শিলিগুড়ি। যার জের গিয়ে পড়ে অন্য ওয়ার্ডগুলিতেও। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে ও সব দলের নেতা-কর্মীদের সংযমের কারণে এর জেরে অন্য কোনও জায়গায় পড়েনি।

ভোট শেষ হওয়ার পর ব্য়াপক উত্তেজনা শিলিগুড়িতে

তবে ওই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য শান্তিনগরের বউ বাজার এলাকায়। চলে দু'পক্ষের মধ্যে চরম ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে উদ্যত হয় পুলিশ। পালটা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে।

তৃণমূল কাউন্সিলর প্রার্থীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শান্তিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন শেষ হওয়ার মূহূর্তে বুথে যান তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রঞ্জন শীলশর্মা। তিনি গিয়ে বুথের ভিতর কত ভোট পড়েছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী পার্থ বৈদ্য ওরফে শানু রঞ্জন শীলশর্মাকে ধাক্কা দেয় ও চড় মারে বলে অভিযোগ।

বিজেপি প্রার্থীকে শৌচাগারে ঢুকিয়ে মার

এরপর পাল্টা রঞ্জন শীলশর্মা দলবল নিয়ে শানুকে শৌচাগারে ঢুকিয়ে মারধর করে আটকে রাখে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি পৌঁছতেই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। শুরু হয় উত্তেজনা। শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এমনকী বিধায়কের উপর চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বলে অভিযোগ। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বুথ ঘিরে ফেলে এবং বিজেপি প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের মারতে উদ্যত হয়।

Advertisement

পুলিশের উপরও হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

পরিস্থিতি সামাল দিতে ও তুলনামূলক সংখ্যায় কম থাকা বিজেপি বিধায়ক ও প্রার্থী সহ স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের পুলিশ নিরাপদে বের করে নিয়ে যেতে গেলে পুলিশের গাড়িতে ঢিল, ইট ছুড়ে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিয়ে উঁচিয়ে ধাওয়া করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করে। সেই সময় পুলিশ ভিড় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে রঞ্জন শীলশর্মা ওই কর্মীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। শেষে বিজেপি প্রার্থীকে আশিঘর আউট পোস্টে আটক রাখা হয়। সন্ধ্যাতেই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

দুই পক্ষের বিবৃতি

রঞ্জন শীল শর্মা বলেন, "বিজেপি বুথে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। বিজেপি প্রার্থী আমাকে বুথের মধ্যে ধাক্কা দেয়। আমি উল্টে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।" বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের প্রার্থীকে আটকে রাখা হয়েছিল। ওকে অপহরণ করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের বহিরাগত গুন্ডারা সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। হারের ভয়ে এসব করে বোর্ড দখল নিতে চাইছে তৃণমূল। "

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement