রবিনসন স্ট্রিটের (Robinson Street Kolkata) পার্থ দে-কে মনে আছে? দিদির মৃতদেহ ঘরে রেখে সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। এবার তেমনই ঘটনা উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur)। মায়ের মৃত্যুর পর ৫ দিন ধরে ঘরে দেহ আগলে বসে রইল ছেলে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার (Chopra) সুভাষনগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি মৃতার ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গেছে সুভাষনগর এলাকার শেষ প্রান্তে একটি বাড়িতে মানসিক অবসাদগ্রস্থ ছেলে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে নিয়ে থাকতেন তাঁর মা কুসুম চক্রবর্তী। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে এলাকায় দেখতে পাচ্ছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে শনিবার থেকেই পচা গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষজন। এরপর রবিবার গন্ধের উৎস সন্ধান করতে বের হন তাঁরা। সেই সময় রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে তাঁর মায়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। উত্তরে অবলীলায় রামকৃষ্ণ জানান, তাঁর মা দিন চারেক হল মারা গিয়েছেন। দেহ ঘরেই রয়েছে।
রামকৃষ্ণবাবুর মুখে এই কথা শোনার পর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় এলাকাবাসীর। এরপরেই চোপড়া থানায় থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে এলাকায় পোঁছায় পুলিশ। উদ্ধার করে কুসুম চক্রবর্তীর পচা গলা দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বার্ধ্যজনিত রোগে ভুগেই মৃত্যু হয়েছে কুসুম চক্রবর্তীর। আর রামকৃষ্ণবাবুর মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকায় মায়ের মৃত্যুর খবর কাউকে জানাতে পারেননি তিনি। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতার ছেলেকেও শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।