Advertisement

একশো দিনের কাজের টাকা খাচ্ছে সুপারভাইজার, বিক্ষোভে উত্তাল চাঁচল

একশো দিনের কাজ করছে শ্রমিকরা। মজুরি ভাগাভাগি করে নিচ্ছ সুপারভাইজার ও নির্মাণ সহায়ক। এমনকী অনেকে কাজ না করেই টাকা পাচ্ছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মালদার চাঁচলে।

একশো দিনের কাজে মজুরি নিয়ে গোলমাল
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 09 Sep 2021,
  • अपडेटेड 11:35 AM IST
  • একশো দিনের কাজে মজুরি মেলেনি
  • মজুরি পাচ্ছে কাজ না করেই
  • সুপারভাইজার খাচ্ছে পয়সা ?

একশো দিনের কাজ করছে শ্রমিক, মজুরি ভাগাভাগি করে নিচ্ছ সুপারভাইজার ও নির্মাণ সহায়ক। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মালদার চাঁচলে।

কাজ করে মজুরি নেই, সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

একশো দিনের কাজ করেও প্রকৃত শ্রমিকদের মিলছে না মজুরি। অথচ কাজ না করেই গ্রামের একাংশ মজুরি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ও সুপারভাইজারের অ্যাকাউন্টে ঢোকা টাকা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন তাঁরা। এমনই অভিযোগ তুললো একশ দিনের কাজের শ্রমিকরা।

বিক্ষোভ শ্রমিকদের

বৃহস্পতিবার মালদার চাঁচল-১ নং ব্লক অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে ব্লক চত্বরেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জবকার্ডধারী প্রকৃত শ্রমিকরা। চাঁচল-১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্বিনপুর সংসদের শ্রমিকরা এদিন প্রায় আধ ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান ব্লক চত্বরে।

অর্ধেক টাকা ঘুষ চান সুপারভাইজার বলে অভিযোগ

একশো দিনের কাজের শ্রমিক হাফিজুদ্দিনের অভিযোগ,এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে চার সপ্তাহ কাজ করেছি। তবুও মজুরি পাচ্ছি না। ওই কাজের সুপারভাইজার শেখ মিনাল হোসেনকে টাকার কথা বলতে গেলে তিনি টাকা লোপাটের কথা বলেন। অর্ধেক টাকা সুপারভাইজারকে দিলেই নাকি  অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। এমন কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান তাঁরা বলে জানান।

কিছু লোক কাজ না করেই টাকা পাচ্ছে

অভিযোগকারী শ্রমিক লুসি বিবি জানান,মাটি কাটার কাজ করেও প্রায় ছয় সপ্তাহের কাজের টাকা পাইনি। অথচ গ্রামের কতিপয় মানুষ কাজ না করেই টাকা পাচ্ছে। আর সেই টাকা ভাগ করে নিচ্ছে সুপারভাইজার শেখ মিনাল ও পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মীর মহসিন। লকডাউনের পর থেকে স্বামীর কাজ স্বাভাবিক নেই। ফলে সাহায্য করতে ১০০ দিনের মাটি কাটার কাজে হাত লাগিয়েছিলাম। কিন্তু মজুরি অধরা। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি বলেই এই বঞ্চনার শিকার। গোটা ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতকেই দায়ী করছে শ্রমিকরা।

Advertisement

অভিযোগ ভিত্তিহীন

সময়মতো প্রকৃত শ্রমিকরাই মজুরি পায় ও নিয়ম মেনেই  কাজ করানো হয়। শ্রমিকহীনদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে ভাগ নেওয়ার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মীর মহসিন ও স্থানীয় সুপারভাইজার শেখ মিনাল হোসেন। রাজনৈতিক মদতে উদ্দেশ‍্য প্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ বলে দাবি সুপার ভাইজারের।

অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস বিডিও

১০০ দিনের কাজ ও মজুরি প্রদান নিয়মমাফিক চলে। কাজ দেখেই বিল দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহদেব চন্দ্র মন্ডল। চাঁচলের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হবে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement