অনশন পাঁচদিনে পড়ল
অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ (এবিজিএল)-এর অনশন ধর্মঘট চারদিন পার করে পাঁচদিনে পড়ল। এখনও কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা বিজেপির তরফে কোনও রকম বার্তা আসেনি। ফলে অনশন চলছেই। এরই মধ্যে এই মুহূর্তে জিটিএ-এর দায়িত্বে থাকা অনিত থাপাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল পাহাড়ে। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করলেন অনিত।
গোর্খা লিগের পাশে অনিত থাপা
বৃহস্পতিবার অনিত থাপা এবিজিএল-এর অনশন মঞ্চে হাজির হলেন। শুধু হাজির হওয়াই নয়, তিনি এবিজিএল-এর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিলেন। অনিত থাপা বলেন, আমরা এই লড়াইয়ে গোর্খা লিগের সাথে আছি। সাংসদ কিছু করতে পারবে না, যতক্ষণ না বিজেপি হাইকমান্ড তাঁকে কোনও নির্দেশ দেয়। তাই বেশি কিছু আশা করা সম্ভব নয়।
এসপি শর্মার সঙ্গে কথা বলেন অনিত
বিনয়হারা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-২ এর সভাপতি অনিত অনশন না হওয়া পর্যন্ত এবিজিএল অনশন স্থলে কিছুক্ষণ সময় কাটান। অনশনরত গোর্খা লিগ নেতা এসপি শর্মার সাথে দেখা করেন। তাঁর কুশল খোঁজ খবর করেন।
দেখা করেন বিমল গুরুংও
বুধবার সন্ধ্যায় বিমল গুরুংও এসপি শর্মার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে তিনিও তাঁর সঙ্গে আছেন। তিনি বলেন, আমরা তাঁর সাথে আছি এবং আমরা অবশ্যই তাকে সমর্থন করব। এমপি রাজু বিস্তা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারবেন না, যখন বিজেপি হাইকমান্ড তাকে নির্দেশ দেয়।
বিমলের দাবি
২০১৭ থেকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বিমল। নির্বাচনের পরে, ২০১৭ সালের আন্দোলনের সময় আমাদের অনেক সদস্যের মৃত্যু হয়, সেই সময় বিজেপি একক শব্দ ব্য়বহার করেছিল। বিজেপি গোর্খা জনগণকে কেমনভাবে দেখে তা প্রমাণ করে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকের ডাক এবিজিএল-এর
বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিজিএল এর পক্ষ থেকে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সভা ডাকা হয়। দুপুর ১ টার দিকে সেই গোর্খা জনমুক্তি ১ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২ কেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল, জিএনএলএফ, সিপিআরএমকে অবশ্য ডাকেনি তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও, সোসাইটি এবং অন্যান্য সমিতিগুলিকেও ডাকা হয়েছে।