পূর্বাভাস ছিলই,ঝড় বৃষ্টি হবে। সেই মতই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আছড়ে পড়লো কালবৈশাখী। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়িতে তার প্রভাব পড়ল সবচেয়ে বেশি।
সকাল দশটা নাগাদ আচমকা দিনের আলো প্রায় মুছে গিয়ে তুমুল হাওয়া সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্রপাত ও বৃষ্টি, মুহুর্তের মধ্যে তছনছ করে দিলো বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর গাছ পড়ে লন্ডভন্ড হওয়ার ঘটনা খবর এসেছে। সেই সঙ্গে বেশকিছু বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ার খবর এসেছে। শিলিগুড়ি শহরেও গাছ পড়ে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
দুদিন ধরেই চিটপিটে গরম শরীরকে কাহিল করে দিয়েছিল। তাপমাত্রা বেশি না থাকলেও সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাষ ছিল গোটা রাজ্যেই প্রবল বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই মতোই শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় চল্লিশ কিলোমিটার বেগে ঝড় নেমে আসে। সেই সঙ্গে তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আধ ঘন্টা পর ঝড় বৃষ্টি কমলেও দিনভর ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে।
এদিন শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া, কলেজপাড়া, মাটিগাড়ার উপনগরী, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এলাকায় গাছ পড়ে , বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিদ্যুত সংযোগ ব্যহত হয়। শিলিগুড়িতেও প্রায় চারঘন্টা বিদ্যুতহীন হয়ে থাকে বহু এলাকা। অনেক এলাকাতে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যু আসার সম্ভাবনা নেই বলে বিদ্যুত বন্টন কোম্পানির তরফে জানা গিয়েছে। তবে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জলপাইগুড়ি জেলাতেও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।ভুটকিরহাট, ফুলবাড়ি, মাঝিয়ালি, সন্ন্যাসীকাটা, পানিকৌরি, সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সহ ব্লকের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর গাছ ভেঙে গিয়েছে। গাছ ভেঙে পড়ায় কয়েকটি ঘরও ভেঙে পড়ে, ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিতেও।কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি হেলে গিয়েছে ও তার ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।যদিও ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য ময়দানে নেমে পড়েছেন।