Tiger Hill Opens With Condition: আপাতত শর্তসাপেক্ষে চালু হল পর্যটকদের জন্য দার্জিলিং টাইগার হিল দর্শন (Tiger Hill)। বুধবার থেকে ফের গাড়ি করেই টাইগার হিল পৌঁছতে পারেবন পর্যটকরা। এতে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও প্রকৃত সমস্য়ার সমাধান এখনও হয়নি। টাইগার হিলের প্রবেশে একাধিক খাতে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। যা যোগ করলে সব মিলিয়ে অনেকগুলি টাকা। এর ফলে ভাড়াও বেশি নিতে হচ্ছিল। অথচ পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি। অভিযোগের তির রাজ্য পর্যটন দফতর, পুলিশ ও বন দফতরের বিরুদ্ধে। বারবার বিষয়টি ঠিক করে দিলেও তাতে কাজ হয়নি।এরপরই মঙ্গলবার থেকে টাইগার হিলে কোনও পর্যটক নিয়ে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় টুরিস্ট ট্যাক্সির (Darjeeling Tourist Taxy) চালকরা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন জিটিএ চিফ অনিত থাপা। তাঁর মধ্য়স্থতায় আপাতত চালু হয়ে গেল টাইগার হিলে গাড়ি চলাচল। বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে। যদিও দ্রুত সমাধান না হলে ফের গাড়ি বন্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছেন চালকরা।
কোন শর্তে বরফ গলেছে?
এ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন অনিত থাপা ও গাড়িচালকদের প্রতিনিধিরা। এরপর পুলিশের তরফ থেকে টাকা না নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বন দফতর ও পর্যটন দফতর টাকা কমানোর আশ্বাস দেওয়ায় আপাতত বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল গোর্খা গাড়িচালক সংগঠন।
আরও পড়ুন: বাইক নিয়ে সিকিম ভ্রমণে, দুর্যোগে গভীর খাদে পড়ে মৃত মালদার ছাত্র
ছন্দে ফেরার পথে ফের ছন্দপতন
টাইগার হিল ও লাগোয়া এলাকা সূর্যোদয় দেখার উপরই লোক টানে। আগে টাইগার হিলের পুরোটাই দেখভালের দায়িত্ব ছিল জিটিএ-র হাতে। ২০১৭ সালে জিটিএর পর্যটকদের কাছ থেকে টাইগার হিলের প্রবেশ মূল্য নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে টাইগার হিল জিটিএ-র পাশাপাশি পর্যটন দফতরও দেখভাল শুরু করে। লকডাউনের সময়ে দীর্ঘদিন টুরিজম বন্ধ ছিল। এ বছরই স্বাভাবিক ছন্দ ফিরেছে পাহাড়ে। এবার পর্যটন দফতরের তরফে একাধিক গাড়ি তো ফিজ তো রয়েইছে, সঙ্গে বন দফতরও বাড়তি টাকা আদায় করছে পার্কিং ফি বাবদ করছে বলে অভিযোগ। এতে সমস্যায় পড়তে হয় গাড়িচালকদের।
মূল অভিযোগ
পর্যটকদেরকে টাইগার হিল নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয় গাড়িপিছু ১০ টাকা। এছাড়া ২০ টাকা পর্যটন দফতরকে এবং ৫০ টাকা বন দফতরকে দিতে হয়। পাশাপাশি পর্যটকদের টাইগার হিলে যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ৭০ টাকা এবং গাড়িপিছু ১০ টাকা গুনতে হয়। এতগুলি ফি দেওয়ার পর তারপর ছাড়পত্র মেলে সেখানে প্রবেশের। তারপর যদি আকাশ মে্ঘলা থাকে, তো জলে গেল গোটা টাকাটাই। কুয়াশায় ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার কণামাত্র দেখা মেলে না। ফলে এতগুলি টাকা খরচ করে মন খারাপ হয় পর্যটকদেরও। সঙ্গে চালকদেরও। গোটাটাই যেখানে অনিশ্চিত সেখানে এত জায়গায় টাকা নিলে বাড়তি চাপ হয়ে যায় বলে মনে করছেন চালকরা।
আরও পড়ুনঃ এবার টয়ট্রেনে বসেই চা-জলখাবার সঙ্গে আরও বেশি পাহাড় দর্শনের সুযোগ
কী বলছেন চালক ও প্রশাসন?
গোর্খা গাড়িচালক ইউনিয়নের সম্পাদক সূরজ থাপার অভিযোগ, টাইগার হিলে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নেই। পাশাপাশি রাস্তা খারাপ। সারাক্ষণ যানজট থাকে। অনেকেই সময়মতো সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখতে যেতে পারেন না। তাঁদের দাবি, পর্যটন ও বন দফতর অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধ না করলে মঙ্গলবার থেকে চালকরা টাইগার হিলে বন্ধ করে দেবেন।দার্জিলিংয়ে জেলাশাসক তথা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান সচিব পুন্নমবালম এস জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে সোমবারের মধ্যে সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ না করা হলে মঙ্গলবার গাড়ি চালাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চালকরা।