ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত মালদায়। মালদার রতুয়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন বিবদমান চারজন বলে খবর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে গোাটা জেলায়। উত্তাপ চড়তে থাকে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জখম বিজেপি কর্মীর নাম ইবাদুল রহমান।
অভিযোগ কী?
এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে প্রথম বোমাবাজি করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত এক বিজেপি কর্মী ও এক বুথ এজেন্টের পরিবারের তিন জন। গুরুতর আহত ওই বিজেপি কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ
জখম এবাদুলের আত্মীয় কওসর আলির দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সেই সময় থেকেই আমার পরিবারের উপর নজর ছিল এলাকার সামসুল হকের ৷ তারা তৃণমূল কর্মী। এর আগেও তারা কওসরদের উপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।
কি হয়েছিল?
বুধবার রাতে আমার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পাশের জমি থেকে ধান ঘরে নিয়ে ফিরছিল ৷ সেই সময় সামসুলরা বাড়ির ছাদে ধান ঝাড়ছিল ৷ ধানের গুঁড়ো চোখেমুখে এসে পড়ে ৷ তার প্রতিবাদ করে আমার বাড়ির লোকজন৷ এ নিয়ে বচসা শুরু হয় ৷ হঠাৎ সামসুল ও আরও কয়েকজন বোমাবাজি শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ ৷
অভিযোগের তির
বোমার আঘাতে এবাদুলের স্ত্রী শাহনওয়াজ পারভিন, ভাই এমাদুল রহমান ও দাদা মাজহারুল হক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ ৷ দাদার আঘাত গুরুতর ৷ তাকে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে মালদা মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ৷ আহত হয়েছে বোন আয়েষা খাতুনও। গোটা ঘটনা জানিয়ে চারজনের নামে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কওসর।
বিজেপির দাবি
জেলা বিজেপির নেতৃত্বদের দাবি ২ মে পর থেকে তৃণমূল টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বোমাবাজি, গুলি করে বিজেপি কর্মীদের জখম করছে। মালদহ জেলাতে সবচেয়ে বেশি এমন হচ্ছে। রতুয়ায় বিজেমি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়েছে বলে বিজেপি জেলা সভাপতির দাবি। তৃণমূল গোটা মালদাকে চেষ্টা করছে অশান্ত করতে। তাঁর আরও অভিযোগ, গোটা রাজ্য জুড়ে যে রকম চলছে মালদহে একই রকম করতে চাইছে।
তৃণমূলের পাল্টা
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব দাবি করেন এটি একটি পারিবারিক ঘটনা। বিজেপি গোটা পশ্চিমবাংলায় যে কোনও ঘটনায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে বলে তাঁরা আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিস্কার করা হবে।