চা বাগানকে হাতিয়ার করে পাচার করা হচ্ছিল প্রাচীন মূর্তি। গোপন সূত্রে খবর ভিত্তিতে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অভিযানে উদ্ধার হয় এই মূর্তি। উদ্ধার হওয়া মূর্তির বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ চা বাগান সহ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িকে করিডর করে প্রতিনিয়ত পাচারকারীরা ছক কষে ইধারকা মাল উধার করে চলেন। মাঝে মধ্যে পুলিশ সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সি যেমন কাস্টমস, এসএসবি, কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের তরফে অভিযান চালানো হয়। তাতে কিছু পাচারের ছক বানচাল হয় বটে, কিন্তু নিরাপত্তা আধিকারিকরাই স্বীকার করেছেন এগুলি সিন্ধুতে বিন্দু মাত্র।
তেমনভাবেই আবারও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অভিযানে চা বাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন মূর্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরা এলাকায়। জানা গিয়েছে চা বাগানের ভিতরে প্রাচীন মূর্তি পাচারের সময় গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। উদ্ধার হয় এই প্রাচীন মূর্তিটি।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মূর্তির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। তবে ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো মহম্মদ ইসমাইল ওরফে বাপ্পা এবং নাম অরূপ মন্ডল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসমাইল রাজগঞ্জের ভুন্দারুগছের বাসিন্দা এবং অরূপ হলদিবাড়ির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে বাগডোগরা থানার পুলিশের সহযোগিতায়, চা বাগানের ভিতরে কেনাবেচার সময় অভিযানটি চালানো হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। পাশাপাশি মূর্তিটি কিসের তা জানার জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে কোনও প্রাচীন দেবীমূর্তি বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।