অনলাইনে বুকিংয়ে চলে এল ভিস্তাডোম কোচ
ঘোষণা করা হয়েছিল ১৫ অগাস্ট শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত দৌড়বে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ভিস্টাডোম কোচ। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এগিয়ে এলো উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সোমবার থেকে রেলওয়ে অনলাইন বুকিং তালিকায় ভিস্তাডোম কোচের কোড প্রকাশ করে দিল তারা। সেই সঙ্গে পর্যটকদের খুশির বাঁধ ভাঙবে বলেই আশাবাদী তারা।
রেল, আইআরসিটিসি কিংবা বাণিজ্যিক পোর্টালে মিলবে কোড
কোন কোচের কি কি বিভাগ থাকছে ? সেই সমস্ত কোচের বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে। কোন কোচ এর কোড কত হবে, সেটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রেলের অনলাইন পোর্টালে। যাতে পর্যটকেরা অনলাইনে সরাসরি বুকিং করে ফেলতে পারেন। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড টুরিজম সার্ভিস (IRCTC) পোর্টাল থেকে কিংবা বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়ে
এসি এবং নন এসি, জেনে নিন কোড
ভিস্তাডোম নন এসি কোচ এর কোড 'ভিএস' এবং আর ভিস্টাডোম এসি কোচ এর কোড 'ইভি'। সেই সঙ্গে আরও কিছু নতুন চালু হওয়া কোচের কোড দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।
বাজল খুশির ঘন্টা
ফলে এই কোড প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তারা পর্যটকদের জন্য খুশির ঘন্টা বাজিয়ে দিল। ফলে বাড়ি থেকে বসেই বুকিং করে পরিকল্পনার ছকে ফেলতে পারেন। যেদিন ইচ্ছে। পুজোর সময়ে বিশেষ প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থাও করতে পারে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
টুরিজম ফ্রেন্ডলি কোচ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুহানন চন্দ জানিয়েছেন পুরোপুরি পর্যটক বা ট্যুরিজম ফ্রেন্ডলি করেই তো গড়ে তোলা হচ্ছে এই ভিস্টাডোম কোচগুলিকে। এর আগে অবশ্য কোথায় কোথায় ট্রেনটি থামবে তার একটা তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল।
ভিস্তাডোমে কি কি সুবিধা পর্যটকদের
ভিস্তাডোম কোচের সঙ্গে সাধারণ কোচের পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ কোচের জানালা ছোট থাকে। ভিস্তাডোম-এর কাচের জানালা অনেক বড় থাকে। একদিকের বডি বা কোচের দেওয়াল পুরোপুরি স্বচ্ছ কাচের হবে। পাশাপাশি বসার জায়গাও সাধারণ কোচের মতো হবে না। চেয়ার কার হোক বা স্লিপার, অনেক কম আসন লাক্সারির বন্দোবস্ত থাকবে। যেখান থেকে আরও অনেক বেশি করে যাত্রাপথের ভিউ পর্যটকদের সামনে চলে আসবে।
কি কি দেখতে পাবেন এই ট্রেনে
ফলে জঙ্গল দিয়ে যাওয়ার সময় যদি হাতি, গন্ডার, হরিণ দেখতে পান তাহলে দুচোখ ভরে তারিয়ে উপভোগ করতে পারবেন। শিলিগুড়ি থেকে রওনা হয়ে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার পথে একাধিক জঙ্গল এবং সেবকের মনোরম দৃশ্য অথবা চা বাগানের সবুজ ঘেরা চিত্র উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। তাহলে আর দেরি কেন চরৈবেতি বলে এবেলা বেরিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া যাক।