উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করল মুর্শিদাবাদের ছাত্রী। মাধ্যমিকে ৭৯ জন প্রথম স্থান অধিকার করলেও, উচ্চ মাধ্যমিকে এককভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কান্দি রাজা মনীন্দ্র চন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা। বাড়ি কান্দি শহরের হোটেল পাড়া। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯। মাধ্যমিকেও সে প্রথম দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। ৬৮৭ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন। রুমানার বাবা মা দুই জনেই শিক্ষক। জানা গিয়েছে, পড়াশোনায় বরাবর ভাল রুমানা। স্কুলের পরীক্ষায় প্রতি বছর প্রথম হতেন। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা আবহে পরীক্ষা না হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ ছিল তাঁর মনে।
রুমানা বলেন, একজন এককভাবে প্রথম হব ভাবিনি। প্রথম হওয়ায় ভাল লাগছে। তবে পরীক্ষা হলে আরও ভাল লাগত। আমি ভেবেছিলাম নম্বর ভালো হবে। খুবই সন্তুষ্ট আমি। সঠিক মূল্যায়ন পেয়েছি। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার খবর পৌঁছাতেই পরিবারের সদস্যরা আনন্দে মেতে ওঠেন। এলাকার মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীরা বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। এই কৃতী ছাত্রী ভবিষ্যতে একজন বিজ্ঞানী হতে চায়। খবর পাওয়া পরেই উচ্ছ্বসিত সাংসদ অধীর চৌধুরীও । তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের তথা বাংলার আমাদের ঘরের কন্যা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হল, আমাদের বুকটা গর্বে ভরে গেল, নাম রুমানা সুলতানা। শিক্ষা যে শিখবে তার সম্পত্তি, রুমানা আমাদের শিক্ষা দিল। সবাই পড়ো সবাই এগিয়ে চলো। আজ বাংলার নতুন সুলতানা রাজ্য কে কাঁপিয়ে দিল, অনেক অনেক শুভেচ্ছা
উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। ছেলেদের ৯৭.৭০ শতাংশ। মেয়েদের প্রায় সমান। জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ। তফশিলিদের ক্ষেত্রে পাশের হার ৯৭ শতাংশ। কলা বিভাগে উত্তীর্ণ ৯৭.৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ ৯২.২৮ শতাংশ। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে এ প্লাস পেয়েছেন ৪৯,৩৭০ জন। ৭০ থেকে ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন পেয়েছেন ৯৫,৭৫৮ জন। ৬০ থেকে ৫৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৬ জন। প্রথম স্থানাধিকার থেকে দশম পর্যন্ত রয়েছেন মোট ৮৬ জন। সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯।