যত কাণ্ড টয়ট্রেন নিয়ে
এতমাত্র দেশে সিমলা ছাড়া দার্জিলিংয়েই রয়েছে টয়ট্রেন। তবু বারবার বিপন্ন হচ্ছে দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয়ট্রেন। কেন ? এর কী স্থায়ী সমাধান করা যায় না ! পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মতে সামান্য সদিচ্ছা আর উদ্যোগ টয়ট্রেনকে শ্রেষ্ঠত্বের আসন ফিরিয়ে দিতে পারে।
রেলের গাফিলতিতেই দানা বাঁধছে না
কিন্তু এর হেরিটেজ তকমা ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তার কোনওটাই রেল কর্তৃপক্ষ করে উঠতে পারছে না, বা সদিচ্ছাটাই নেই। ফলে ব্র্যান্ড দার্জিলিং মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ শুধুমাত্র টয়ট্রেনকে ভিত্তি করেই ব্র্যান্ড দার্জিলিংকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত বলে দাবি। সে সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্যের যোগাযোগের অভাবে বিষয়টি দানা বাঁধছে না।
রাজ্যও বিষয়টি নিয়ে তেমন উদ্যোগী নয়
এ বিষয়ে অবশ্য পর্যটনমন্ত্রী থাকাকালীন গৌতম দেব জানিয়েছিলেন, গোটাটাই রেলের ব্যাপার। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই সমস্যা হচ্ছে। প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই। তবে টয়ট্রেনকে অবশ্যই সবসময় অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা উচিত। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের পর কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর সবে ফের চালু হয়েছে টয়ট্রেনের যাত্রা। ফের শিলিগুড়ির এনেজপি স্টেশন থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত পরিষেবা শুরু টয়ট্রেনের। তবে স্থানীয়দের মতে, এই যাতায়াত কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
টয়ট্রেনের বিপদ কি কেটেছে ?
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তারা জানিয়েছেন, টয়ট্রেন আপাতত বিপদমুক্ত। কিন্তু বিপদ কতটা কেটেছে, তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। দার্জিলিংয়ের স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় টয় ট্রেনের যাত্রা শুরু হলেও এখনও পূর্ণযাত্রী মিলছে না। তবে দু’একদিনের মধ্যেই যাত্রী মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
টয়ট্রেন রাজ্যের পর্যটনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ
টয়ট্রেনে যত্ন প্রয়োজন
পাশাপাশি বেতন সংক্রান্ত কারণে এর আগে জয় রাইড বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এটা এক ধরণের গাফিলতি বলে মনে করেন অপর এক পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড টুরিজম এর কনভেনার রাজ বসু। তিনি নিজেই টয়ট্রেন রক্ষা কমিটিতে রয়েছেন। তিনি টয়ট্রেনকে আরও স্পর্শকাতরভাবে বিচার করা দরকার বলে দাবি করেন। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি গোটা সার্কিটকেই ধাক্কা দিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে অতটা আক্রমণাত্মক হওয়ার দরকার নেই বলে জানান তিনি। এই মুহূর্তে দিনে একটিই ট্রেন সকালে এনজেপি থেকে দার্জিলিং যাচ্ছে। আবার ওই ট্রেনটিই ফিরে আসছে বিকেলে।