আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার নদীয়ার তেহট্টের বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। শুক্রবার ২৯ এপ্রিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়দিঘী থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচুর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। যদিও অভিযোগ রয়েছে তেহট্টর বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও। তিনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগের তির বিধায়কের দিকেও
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তারা পালিয়ে যান। ওই তিন জনকে শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রের পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপ্ত সহায়কের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবি করেছেন তেহট্টের বিধায়ক। যদিও ২০১৬ সাল থেকে বিধায়কের আপ্তসহায়ক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন প্রবীর।
প্রকৃত অভিযোগ কী?
সম্প্রতি চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৬ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন বিধায়ক বলে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনটি চিঠি পাঠানো হয়। এর মধ্যে একটি চিঠি দেওয়া হয় পলাশিপাড়া বিধানসভা এলাকা থেকে। অন্য দু’টি তেহট্ট এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ জানানো হয়েছিল বিধায়কের বিরুদ্ধেই। যদিও বিধায়ক নিজে এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
একাধিক জায়গা থেকে চাকরির নামে অর্থ তোলার অভিযোগ
২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক ছিলেন তাপসবাবু। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তেহট্ট এবং করিমপুরেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। মোট তিন জায়গা থেকে সব মিলিয়ে তাপস সাহা ১৬ কোটি টাকা তোলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিগুলিতে। এখন অভিযোগ খতিয়ে দেখবে পুলিশ। জেরা করা হবে ধৃতদেরও।