Anubrata Mondal: পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশে এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। বর্তমানে কেষ্ট রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি থাকার পাশাপাশি লাগোয়া জেলা পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু বিধানসভার সাংগঠনিক কাজকর্মও দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন অনুব্রত। কারণ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র বীরভূমের মধ্যে থাকলেও আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট বিধানসভাগুলি আদতে পূর্ব বর্ধমানে। কিন্তু এই বিধানসভাগুলির লোকসভা কেন্দ্র আবার বোলপুরে অর্থাৎ বীরভূমে। ফলে এই ৩ কেন্দ্রে সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখতেন অনুব্রত মণ্ডল। এখন এই তিন কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রতকে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত
জানা গিয়েছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে জেলার নেতাদের কাছে। এলাকার নেতাদের ওই বিধানসভাগুলির দেখভাল করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে নজর রাখবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। অনুব্রত বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। কয়েক মাস পরেই সম্ভবত পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় সাংগঠনিক কাজে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের এই বিধানসভাগুলিতে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় কলকাতায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীও। বৈঠকেই পূর্ব বর্ধমানের এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে সাংগঠনিক স্তরে বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলে অনুব্রত
দীর্ঘদিন ধরে এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত। তবে পূর্ব বর্ধমানের সাংগঠনিক বদল হলেও, বীরভূম নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ঘাসফুল শিবির। আদালতের নির্দেশে আগামী ১৪ দিনের জেল হেফাজত অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসানসোল সংশোধনাগারে থাকবেন কেষ্ট। গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তারপরে দুই দফায় তিনি ছিলেন সিবিআই হেফাজতে। জেলে থাকলেও, এখনও বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।