Advertisement

স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত, স্বামীর বিষপ্রয়োগে মৃত্যু ঘিরে রহস্য , চুঁচুড়ায় উত্তেজনা

স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত, স্বামীর বিষপ্রয়োগে মৃত্যু , চুঁচুড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। মৃত যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকদের এলাকাবাসীর রোষ থেকে রক্ষা করতে পুলিশি পাহাড়া। উত্তপ্ত এলাকা।

প্রতীকী ছবি
ভোলা নাথ সাহা
  • চুঁচুড়া,
  • 24 Feb 2022,
  • अपडेटेड 2:04 PM IST
  • স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত, জানাজানিতেই অশান্তি
  • ঘরজামাই স্বামীকে মারধর স্ত্রীর বাপের বহাড়ির লোকজনের
  • স্বামীর বিষপ্রয়োগে মৃত্যু, রহস্য দানা বাঁধছে

স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে বিষপ্রয়োগে মৃত্যু হলো এক যুবকের। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন না তাঁকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ এখনও কাটেনি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এলাকাবাসীর রোষের হাত থেকে বাঁচাতে স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা বসানো হয়েছে। তাদের নিজেদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকে এলাকাবাসী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য হুগলির চুঁচুড়া থানার রবীন্দ্রনগর পশ্চিমপাড়ায়।

কুড়ি বছরের দাম্পত্যে পরকীয়ার ছায়া

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যাক্তির নাম সুশান্ত মিস্ত্রী (৪০)। বছর কুড়ি আগে রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা সুশান্তের সাথে বিয়ে হয় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা স্বাতীর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই সুশান্ত, স্বাতীর বাপের বাড়িতে ঘরজামাই হিসাবে থাকতো। শ্বশুরবাড়ির সামনে সুশান্ত একটি মিষ্টির দোকানও খুলেছিল। অভিযোগ সম্প্রতি রবীন্দ্রনগরের একটি ছেলের সঙ্গে স্বাতীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা নিয়েই প্রতিদিন সংসারে অশান্তি চলতো বলে পাড়ার লোকের অভিযোগ।

অবৈধ সম্পর্কের জেরে অশান্তি, মারধর স্বামীকে

অভিযোগ, স্বাতীর অবৈধ সম্পর্ক মেনে নেয় বাপের বাড়ির লোকেরা। এই সম্পর্কের জেরেই বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। দিন কয়েক আগে স্বাতী ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা সুশান্তকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তারপরই সুশান্ত বিষ খেয়েছে বলে পাড়ার লোকেরা খবর পায়। অভিযোগ, যেদিন বিষপানের ঘটনা ঘটে, তার  একদিন পর সুশান্তকে প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতাল ও পরে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সুশান্ত অভিমানে বা অশান্তিতে নিজেই বিষ খেয়েছেন নাকি, তাঁকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

যুবকের মৃত্যুর খবরে উত্তাল এলাকা

কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুশান্তের মৃত্যু হয়। এই খবর এলাকায় আসতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। স্বাতীর বাপের বাড়ির লোকেরা ভয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। খবর যায় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ এলে অভিযুক্তদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় প্রতিবেশিরা। টানা কয়েকঘন্টা স্বাতীর বাপের বাড়ির সামনে পাহাড়ায় থাকে পুলিশ। এরপর এসিপি হেডকোর্টারের নেতৃত্বে RAF নামিয়ে এলাকা ফাঁকা করা হয়। তারপর অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement