কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে আগামী ২৬ তারিখ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের (General Strike) ডাক দিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন (Trade Union)। এবার সেই ধর্মঘটের সমর্থনে রানিগঞ্জে মশাল মিছিল করল সিপিআইএম। মঙ্গলবার সিপিআইএমের (CPIM) রানিগঞ্জ এরিয়া কমিটির তরফ থেকে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। এদিন সিয়ারসোল রাজবাড়ির রক্ষাকালী মন্দির এলাকা থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে সিয়ারসোল রাজবাড়ি মোড়ে এসেই শেষ হয় মিছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতল দাহ করেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা।
এই প্রসঙ্গে এদিন রানিগঞ্জের বাম বিধায়ক রুনু দত্ত বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার পরিকল্পনা করে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকে বেসরকারিকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি কৃষক বিরোধী নীতি ও শ্রমিক বিরোধী শ্রম আইন লাগু করে মানুষকে পঙ্গু করতে চাইছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তিনি আরও বলেন, এই দুই সরকার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কোনও ক্ষেত্রেই মানুষের কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এছাড়া লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতেও এদিন সরব হন সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা।
ধর্মঘটের আহ্বায়ক মূলত CITU, AITUC, INTUC, HMS, AUTUC, TUCC, AICCTU, LPF, UTUC এবং সেবা। মূলত ৭ দফা দাবিতে ডাকা হয়েছে ২৬ তারিখের এই ধর্মঘট। সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকা ও রেশন নিশ্চিত করা ছাড়াও যে দাবি গুলি জানান হয়েছে তা হল, রেগা প্রকল্পে ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। সংসদে যে শ্রম কোড বিল পাশ করানো হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। কৃষক স্বার্থ বিরোধী সাম্প্রতিক ৩টি কৃষি আইন খারিজ করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থার বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে। বাধ্যতামূলক অবসর প্রকল্প বাতিল করতে হবে। এছাড়াও ধর্মঘটীদের দাবি, সর্বজনীন পেনশন চালু করে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। ইতিমধ্যেই এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। ধর্মঘটের সমর্থনে গত রবিবার হাওড়ায় মহামিছিলও করেছে বামেরা। অন্যদিকে কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে বিক্ষোভ এবং দিল্লিতে মিছিলের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ AIKSCC।