একটা সময় ছিল যখন নিউ ইয়ার (Happy New Year) মানেই ছিল গ্রিটিং কার্ড (Greeting Card) কেনার হিড়িক। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন এবং প্রিয় মানুষের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দ মতো কার্ড বেছে নেওয়া। কার্ডের ভাঁজের মধ্যে চলত নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়। যদিও বিগত কিছু বছরে সেই ধারা এখন অনেকটাই অচল। নেপথ্যে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। দিনে দিনে যত ফেসবুক (Facebook), হোয়াটস অ্যাপ (WhatsApp), ট্যুইটার (Twitter), ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মতো সোশ্যাল মিডিয়ার জালে জড়িয়েছেন মানুষ ততোই নিউ ইয়ারে কমছে গ্রিটিংস কার্ডের চাহিদা। আর চাহিদা যত কমেছে ততই সংকটে পড়েছেন গ্রিটিং কার্ডের ব্যবসায় যুক্ত মানুষেরা।
শুধু গ্রিটিং কার্ড নয়, একই অবস্থা ডায়েরির ক্ষেত্রেও। ক্রেতা ও মহাজনদের খুশি করতে একসময় নতুন বছরের শুরুতে তাঁদের ডায়েরি উপহার দিতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মানুষ যত স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব তথা প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে, ততই ব্যবহার কমেছে ডায়েরির। ফলে আজকাল সেই ডায়েরি উপহারের পালাও এক প্রকার অস্তগামী। আর তার জেরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যায় ডায়েরি ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন একে তো চাহিদা কমেছে, তার সঙ্গে রয়েছে করোনা বালাই। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে অনেকেরই আর্থিক সংকট রয়েছে। সেক্ষেত্রে দাম কম রাখলেও গ্রিটিং কার্ড কিনতে রাজি নন ক্রেতারা। পরিবর্তে ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন বছরের শুভেচ্ছা, সঙ্গে কোভিড ১৯ সচেতনতা বার্তা একসঙ্গে পাঠানোর বিকল্পকেই বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। আর ক্রেতাদের এই রুচি পরিবর্তনে মুনাফা অধরাই থেকে যাচ্ছে গ্রিচিং কার্ড ব্যবসায়ীদের।