Advertisement

হাওড়ায় ফাঁস হাওয়ালা, ২৫ লক্ষ টাকা সহ ধৃত বারাণসীর ব্যক্তি

হাওলার বড় চক্র ফাঁস হাওড়া স্টেশনে। বৃহস্পতিবার স্টেশন থেকে আরপিএফের হাতে ধরা পড়ে উত্তরপ্রদেশের এক ব্য়াক্তি। হাওলায় টাকা পাঠিয়ে বউবাদার থেকে সোনা কিনতে এসেছিল ধৃত। তার কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর বিভাগের হাতে তুলে দেয় তারা।

টাকা সহ ধৃত
Aajtak Bangla
  • হাওড়া,
  • 22 Jul 2021,
  • अपडेटेड 11:25 AM IST
  • নথিবিহীন ২৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত
  • হাওয়ালায় সোনা কিনতে এসেছিল বলে জানায় ধৃত
  • উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা হাওয়ালা চক্র ছড়িয়ে

অবৈধভাবে ২৫ লক্ষ টাকা কোনও নথি ছাড়াই পাচারের অভিযোগে উত্তর প্রদেশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আরপিএফ। সোমবার হাওড়া স্টেশনে ওই ব্যক্তি একটি ব্যাকপ্য়াকে করে টাকা নিয়ে স্টেশনে এসে নামে। সেখান থেকে তাকে আটক করে রেল সুরক্ষা বাহিনী। হাওয়ালার এটি একটি বড় চক্র হতে পারে বলে মনে করছে আরপিএফ আধিকারিকরা। গোটা বিষয়য়টি আয়কর দফতরের হাতে হস্তান্তরিত করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে টাকা আসছিল

আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রাজেন্দ্র শর্মা। বাড়ি গান্ধিনগর, পিএস - সিগড়া, ছিপপুর, জেলা-বারাণসী, উত্তর প্রদেশষ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তিনি বারাণসীর কাটরা বাজারের এস.কে জুয়েলারি দোকানে কাজ করেন। উক্ত দোকানের মালিক সৌরভ কাপুর তাঁকে কলকাতা পাঠিয়েছে। উপরোক্ত নগদ নিয়ে তিনি বারাণসী থেকে এসেছিলেন। কলকাতায় গাউটি গলি, বউবাজারে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের স্পার্ক সোনার জুয়েলারি থেকে সোনা কিনতে তাঁকে বলা হয়েছে। সোনার জুয়েলারি কেনার জন্য তার দোকান মালিকের নির্দেশ অনুসারে ওই বিপুল পরিমাণ নগদ বহন করার পাশাপাশি তাঁর কোনও জিএসটি / বা আয়কর সংক্রান্ত কিছু দেখাতে পারেননি।

৫০০ টাকায় ২৫ লক্ষ টাকা

তার কালো রঙের ব্যাকপ্যাকটি তল্লাশি করার সময় তার হেফাজত থেকে ৫০০ টাকার নোটে ২৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। জানতে চাইলে তিনি বিপুল পরিমাণে নগদ জোগাড় করার সন্দেহ সম্পর্কে কোনও সন্তোষজনক জবাব বা দলিল দিতে ব্যর্থ হন। আয়কর বিভাগের কলকাতার কর্মকর্তাদের অবহিত করে আহ্বান জানানো হয়। আয়কর আধিকারিকের যথাযথ নথিপত্র ও যাচাইকরণের পরে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেন।

হাওয়ালার রমরমা

রেলপথ ব্যবহার করে অবৈধ, অনাবৃত নগদ, ডায়মন্ড, স্বর্ণ, রৌপ্য অলঙ্কার এবং নিষিদ্ধ সামগ্রী পাচার ও  হাওয়ালায় হাতবদল হচ্ছে বলে খবর রয়েছে। তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া কিংবা ট্রান্সপোর্টের জন্য হাওয়ালা মাধ্যম জনপ্রিয়। অন্যান্য অসামাজিক উপাদানগুলির জন্য রেলপথটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ এবং দ্রুততমপ পাচার পদ্ধতি।

Advertisement

তৎপর আরপিএফ

আসন্ন স্বাধীনতা দিবসের সাথে এই গুরুতর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা ছাড়াও, আরপিএফ অফিসার এবং কর্মীরা ডিএফএমডি এর মতো সুরক্ষা গ্যাজেটের দক্ষ ব্যবহারের সাথে ট্রেনগুলিতে চলাচল ও ডিবোর্ডিংয়ের সময় স্টেশন চত্বরে প্রবেশকারী, প্রস্থানকারীদের নিয়মিত ফিল্টারিং করছে। এইচএইচএমডি, ব্যাগেজ স্ক্যানার ইত্যাদি অপরাধীদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের তদন্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য।

রুটিন তল্লাশিতেই সাফল্য

এদিন এমডি ভুটিয়া, এএসআই সুমন্ত সরকার এবং ডিউটি ​​স্টাফ হেড কনস্টেবল এ বাগ, হেড কনস্টেবল সুব্রত ঘোষ এবং প্রত্যাশা কুমারী সহ আরপিএফ কর্মীরা রুটিন রাউন্ডে ছিলেন। কালো রঙের পিঠের ব্যাগ সহ এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নং গেটের মধ্যে দিয়ে বের হতে দেখেন। হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন পুরাতন কমপ্লেক্সে সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে দলটি। এরপরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি নার্ভাস হয়ে যায় এবং অন্য কোনও বিকল্প না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযানকারী দল তত্ক্ষণাত তাকে ধাওয়া করে এবং তাকে আটক করে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement