Advertisement

Katwa Hospital: কাটোয়া হাসপাতালে এক মাসে বিরিয়ানির বিল ৩ লাখ টাকা!

Katwa Hospital: সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে ৫০টি উপরে ভুয়ো বিল ধরা পড়েছে। এগুলো প্রত্যেকটি ঠিকাদারদের পাঠানো বিল। তার মধ্যে একটি বিলে একমাসের বিরিয়ানির খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। যা দেখে হতবাক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। 

বিরিয়ানির বিল দেখে হতবাক সকলে।
Aajtak Bangla
  • কাটোয়া,
  • 14 May 2022,
  • अपडेटेड 8:33 PM IST
  • কাটোয়া হাসপাতালে এক মাসে বিরিয়ানির বিল ৩ লাখ টাকা
  • হতবাক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

Katwa Hospital: একমাসে হাসপাতালের বিরিয়ানির বিল ৩ লাখ টাকা। শুনতে অবাক লাগলে বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতালে। সম্প্রতি ঠিকাদারদের বিভিন্ন বিল নিয়ে হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে ৫০টি উপরে ভুয়ো বিল ধরা পড়েছে। এগুলো প্রত্যেকটি ঠিকাদারদের পাঠানো বিল। তার মধ্যে একটি বিলে একমাসের বিরিয়ানির খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। যা দেখে হতবাক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। 

কী নিয়ে এতো বিতর্ক

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিভিন্ন কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। পরে ঠিকাদারের বিল যাচাই করে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ থেকে ২০২০ অর্থবর্ষের শেষ দিকে ঠিকাদারদের প্রচুর বিল হাসপাতালে জমা পড়ে। তার মধ্যে বেশি কিছু বিলের দাম অনেকটাই বেশি ছিল। ফলে অসঙ্গতি আঁচ পেয়ে সেই বিলগুলো আটকে দেওয়া হয়। পরে ২০২১ সালে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হাসপাতালের তৎকালীন সুপার। সেই কমিটি জানায়, অন্তত ৩ জন ঠিকাদারের বিলে অজস্র অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

অনুমান করা হচ্ছে সেই বিলগুলো সম্পূর্ণ ভুয়ো। সেই বিলগুলোর মধ্যেই একটি বিলে দেখানো হয়েছে একমাসে বিরিয়ানির বিল ৩ লাখ টাকা। বিষয়টি সামনে আসতেই হতবাক হয়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকে কাটোয়া হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Advertisement

তদন্তের নির্দেশ

ইতিমধ্যে কমিটির রিপোর্ট গিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের টেবিলেও। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই ৩ জন ঠিকাদারদের মধ্যে কেউ কেউ প্রশ্ন শুনে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। আবার একজন ঠিকাদার জানিয়েছেন আদালতে মামলা চলছে। এই বিষয়টি কোনও মন্তব্য করব না।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement