Advertisement

সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাতভর বোমাবাজি

সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাতভর বোমাবাজি। তদন্তে পুলিশ। আতঙ্কে এলাকাবাসী।

ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে বোমাবাজি চলছে
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
  • সিউড়ি,
  • 18 Mar 2022,
  • अपडेटेड 10:22 AM IST
  • সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে বোমা
  • ১৫ টি বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ
  • তদন্তে পুলিশ, আতঙ্কে এলাকা

রাজ্যে দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। বিরোধীরা রাজ্যের আইনশৃঙখলার অবনতি ঘটেছে বলে সরব হয়েছে। এর মধ্যেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরও হয়েছে, ২৪ ঘন্টাও হয়নি। এরই মধ্যে ফের আরও এক কাউন্সিলর সিউড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে মুহুমুর্হু বোমাবর্ষণের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ওই ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবার। মাঝ রাত থেকে ঘুম নেই আশপাশের বহু বাড়ির বাসিন্দাদের।

বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকা বোমা বর্ষণ

বৃহস্পতিবার রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ সিউড়ি পৌরসভার সদ্য নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউয়ের বাড়িতে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাতোর পাড়ার রক্ষাকালীতলার বাসিন্দা এবং ওই ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচিত হয়ে এবার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। তবে এভাবে কে বা কারা বোমাবাজি করলো তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল তিনজন

ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তিনটি মোটরবাইকে করে ছজন আসেন তাঁর বাড়ির সামনে এবং তারা প্রায় ১৫ টির মতো বোমা ছোড়েন। এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক নেমে এসেছে। ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে এবং আরও অন্যান্য অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাউ জানিয়েছেন, এমনিতে তার সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। এখন কি কারণে এমনটা ঘটানো হল, তা নিয়ে তিনি ধন্দে রয়েছেন। তবে বিদ্যাসাগরবাবুর ছেলে বিক্রমজিত সাউ, বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। ফলে তার সঙ্গে কোনও শত্রুতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

Advertisement

গত রবিবার, গুলি করে হত্যা করা হয় পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত এবং ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। যা নিয়ে খোদ উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। তাদের সহয়োগিতা করছে সিআইডি। কিন্তু নিহতদের পরিবার পুলিশি তদন্তে যে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না, তা তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। বিশেষত, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে তাঁর স্ত্রী সরাসরি থানার ওসি-র দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলায় এবং এর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেওয়ার দাবিও উঠেছে।

রাজ্যে দুই কাউন্সিলরকে খুনের ঘটনায় মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহে শুনানি রয়েছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement