Advertisement

বাবা-ছেলের বচসায় বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে জখম ছেলে, সরশুনায় চাঞ্চল্য

বাবা-ছেলের বচসা চলাকালীন প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবার দো-নলা বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে লাগে ছোট ছেলের পায়ের বুড়ো আঙুলে। ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় চাঞ্চল্য

প্রতীকী ছবি
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 01 Oct 2021,
  • अपडेटेड 11:28 AM IST
  • বাবার ছোঁড়া গুলিতে জখম ছেলে
  • হাতাহাতির সময় গুলি ছিটকে লাগে
  • মদ্যপ বাবার হাত থেকে বন্দুক কাড়তে গিয়ে বিপত্তি

সরশুনায় বাবা-ছেলের বচসা, প্রাক্তন সেনা কর্মীর বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে আহত ছেলে

গুলি ছিটকে জখম ছেলে

প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবার বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে গুরুতর জখম হল ছেলে। বাবা-ছেলের বচসা চলাকালীন প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবার দো-নলা বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে লাগে ছোট ছেলের পায়ের বুড়ো আঙুলে। বেহালা সরশুনা থানা এলাকার নস্কর পাড়া লেন এর ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মদ্যপ অবস্থায় বন্দুক নিয়ে হুজ্জোতি বাবার

বচসা চলার সময় ওই প্রাক্তন সেনা কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পারিবারিক অশান্তির প্রতিবাদ করতে বাবার হাত থেকে বন্দুকটি কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন তার ছেলে পবন কুমার। সেই সময় বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে তার পায়ের বুড়ো আঙুলে লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।

বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়েই বিপত্তি

পুলিশ জানিয়েছে, ৫৩ বছর বয়সী প্রাক্তন সেনাকর্মী প্রমোদ কুমার, মূলত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে সোনামুখী রোড, নস্করপাড়া, সেকেন্ড বাই লেন, কলকাতার বাসিন্দা। তিনি রোজই প্রায় মদ খেয়ে এসে অশান্তিু করেন বলে অভিযোগ। এদিনও মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। ডিবিবিএল তার বাড়ির কম্পাউন্ডের ভিতরে লাইসেন্সধারী বন্দুক নিয়ে মদ খেয়ে হুজ্জোতি করছিলেন তিনি। অশান্তু ঠেকাতে তাঁর হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে যান ছেলে পবন কুমার। পবনের বয়স ২২ বছর। 

পবনের বয়ান থেকে জানা গেল ঘটনা

হাতাহাতি চলাকালীন, বন্দুকটি তার হাত থেকে পড়ে যায় এবং এটি গুলি ভরা ছিল। ফলে কোনওভাবে ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি ছিটকে যায়। গুলি ছিটকে একটি সিঁড়ি লেগে এবং ছিটকে পবনের বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুলে লাগে। অবিলম্বে তাকে তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বিদ্যাসাগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিএনএমসিতে রেফার করা হয়। তিনি স্থিতিশীল। তার বক্তব্য ডাক্তারের উপস্থিতিতে তার বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ নেই। বন্দুক ও খালি কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement