পটাশপুরে গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। নাম তপন প্রধান। ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। তবে গুলি করে পালাতে পারেনি অভিযুক্ত। তাকে এলাকাবাসীই ধরে ফেলে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পিছনে আসল ঘটনা কী তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
দুষ্কৃতীকে গণধোলাই এলাকাবাসীর
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে তৃণমূল নেতাকে গুলি। পটাশপুর ২ ব্লকের বড় উদয়পুর এর ঘটনা। স্থানীয় বসিন্দাদের হাতে আটক ওই দুষ্কৃতী। স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। এরপর চলে গণধোলাই। তাতে গুরুতর জখম হয় ওই দুষ্কৃতীও।। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দুষ্কৃতীকে। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতির হলে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।
রাজনৈতিক তর্কাতর্কি থেকে গুলি বলে অভিযোগ
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব নায়ক নামের এক ব্যক্তি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তিনি বাড়ি এসেছিলেন। এসে পাশের একটচি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সেখানেই প্রতিবেশী তপন প্রধানের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক কথাবার্তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই বিতর্ক চরমে উঠলে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এরপর হাতাহাতিতেও শান্ত না হলে সঞ্জীব তার গাড়িতে থাকা একটি রিভলভার বার করে নিয়ে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে জিরো পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে কোমরে গুলি চালিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তপন প্রধান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
বাজেয়াপ্ত রিভলবারটি
সঙ্গে সঙ্গেই সঞ্জীবকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে। তাকে ব্যাপক গণপ্রহার দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সঞ্জীবের রিভলবারটি বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তৃণমূলের তরফে অবশ্য বিজেপির দিকে অভিযোগ তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছে।
বহরমপুরে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে গুলি
অন্যদিকে বহরমপুরে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাত্রে বহরমপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মোহনরায় পাড়া এলাকার মহিলা কংগ্রেস প্রার্থী টুম্পা সরকারের বাড়িতে গুলি চালায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিতরা বলে অভিযোগ। টুম্পা সরকারের স্বামী পিনাকী সরকার জানিয়েছেন, তার স্ত্রী টুম্পা সরকারের নমিনেশন পত্র তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা।
ঘটনায় যা জানা গিয়েছে
রাত্রে নির্বাচনী প্রচার সেরে মোটর বাইকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পান তার বাড়ির কাছাকাছি এলাকার রাস্তার লাইট অফ। কয়েকজন যুবক অন্ধকারে ঘোরাঘুরি করছিল। পিনাকী সরকার বাড়িতে ঢুকে গেলে। তার সদর দরজায় ঠকঠক করে আওয়াজ হওয়ায়, দরজা খুলতেই তাকে লক্ষ্য করে পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়৷ পিনাকী সরকার দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বন্দুকের গুলি তার শরীর স্পর্শ করতে পারে নি ৷ ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ তার বাড়িতে যান৷ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।