রাজনৈতিক ময়দানে হোক কিংবা নির্বাচনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রতিযোগিতা থামার নয়। বিধানসভা নির্বাচনে সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি। যে স্লোগান ছিল খেলা হবে। সেই খেলাতে লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী বাজি মেরে নিয়ে গেলেও বিধানসভায় জয়লাভ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই কাঁটার টক্করকে পুঁজি করে অন্য খেলায় লড়াই লাগিয়ে বাজিমাত করতে এগিয়ে এসেছেন রাখি ব্যবসায়ীরা। যেই জিতুক, তাঁদের অবশ্য লাভ দুদিকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি লাগানো রাখি বাজারে ছেড়ে রাখি উৎসবে বড় চমক দিলেন। রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাখি তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দোকানে দোকানে তা শোভা পাচ্ছে। বর্তমানে করোনা আবহে সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে কেমন করে জমায়েত ও কর্মসূচি করবেন তা নিয়ে চিন্তায় সকলেই। তার মধ্যেই তিথি মেনে বাজারে চলে এসেছে রাখি। বিক্রি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই কম। তবে চমক দিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মী-নেতা কিংবা সমর্থকরা যদি রাখি উৎসবের দিন রাখি কেনেন, তাহলে কিছুটা লভ্যাংশ উঠতে পারে। সে কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়ে রাখি তৈরি করে ইতিমধ্যে সারা ফেলে দিয়েছেন। রানাঘাট, শান্তিপুর সহ তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। একদিকে যেমন লাভের কড়ি গুণে ঘরে তুলবেন বিক্রেতারা, তেমনই এ রাজ্য়ে জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে তাও বিক্রির নিরিখে আরও একবার যাচাই করা যাবে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, যেই এগিয়ে থাক, যাঁর নাম-ছবি সম্বলিত রাখি বেশি বিক্রি হোক, শেষ পর্যন্ত তাঁদের খেটেই খেতে হবে। তাই তাঁরা চান বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। ব্যস। আর কিছু নয়।